ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের মালিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর বাড্ডা থানাধীন এলাকায় কিশোর হৃদয় আহম্মেদের মৃত্যুর ঘটনায় করা হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
বুধবার (২ অক্টোবর) তাকে এ মামলায় ৬ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির গুলশান বিভাগের উপপরিদর্শক নুরুল ইসলাম খান তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনটির পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর তার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৩ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) মধ্যরাতে তাকে রাজধানীর গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে বাড্ডা থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরদিন এ মামলায় তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে তাকে ৭ সেপ্টেম্বর কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই দুপুর ২টার দিকে বাড্ডা থানাধীন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গুলিতে নিহত হন হৃদয়। এ ঘটনায় শাহাদাত হোসেন খান নামে এক ব্যক্তি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৬১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এ ছাড়া দিলীপ আগরওয়ালার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়েরও অভিযোগ আছে।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আজাদ রহমান জানান, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালার বিরুদ্ধে বিদেশ থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে সোনা ও হীরা আমদানির নামে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া তিনি প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন জেলায় নামমাত্র শোরুমের মাধ্যমে ডায়মন্ডের বদলে উন্নতমানের কাচের টুকরো ডায়মন্ড হিসেবে বিক্রি করেছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তিনি আরও জানান, দিলীপ কুমার আগরওয়ালা দুবাই-সিঙ্গাপুরে স্বর্ণ চোরাচালান সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করেন। ভারতের কলকাতায় তিনটি জুয়েলারি দোকান ও ১১টি বাড়ি এবং মালয়েশিয়া, দুবাই ও কানাডায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং প্রতারণার মাধ্যমে ৪০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে অবৈধভাবে একটি ব্যাংকের পরিচালক হওয়ার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে পাওয়ায় সিআইডির ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম তার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের অনুসন্ধান শুরু করেছে।
মন্তব্য করুন