বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা, গণহত্যা ও নির্যাতনের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২২৭ আসামির বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও পৃথক ৫টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার চিফ প্রসিকিউটর বরাবর এসব অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর আগে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কাছে হাসিনার বিরুদ্ধে ১২টি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
জানা যায়, নতুন করে ৫টি অভিযোগের মধ্যে গত ২০ জুলাই সকালে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের ওপর গুলি করে কলেজছাত্র শহীদ নুরে আলম সিদ্দিকী রাকিবকে হত্যার অভিযোগে তার পিতা আব্দুল হালিম ও শহীদ জুবায়েরকে হত্যার অভিযোগে তার পিতা আনোয়ার উদ্দিন বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ ৬৫ জনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেন। গত ১৯ জুলাই সন্ধ্যায় বাড্ডা ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে একাদশ শ্রেণির ছাত্র মো. মারুফ হোসেনকে (১৯) গুলি করে হত্যার অভিযোগে তার পিতা মোহাম্মদ ইদ্রিস শেখ হাসিনাসহ ২৮ জনকে আসামি করে পৃথক অভিযোগ করেন।
এ ছাড়া গত ১৯ জুলাই বিকেলে রাজধানীর উত্তরা আব্দুল্লাপুর এলাকায় এইচএসসি পরীক্ষার্থী শহীদ ফয়সাল সরকারকে গুলি করে হত্যা করায় তার পিতা শফিকুল ইসলাম সরকার (গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলায়) শেখ হাসিনাসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে অভিযোগ করেছেন। একই তারিখে মিরপুর ১০ নং গোল চত্বর এলাকায় দশম শ্রেণির ছাত্র শহীদ মাহফুজুর রহমানকে (১৫) হত্যার অভিযোগে তার পিতা আব্দুল মান্নান শেখ হাসিনাসহ ৭৬ জনকে আসামি করে অভিযোগ করেছেন।
এ ছাড়াও গত ৫ আগস্ট বিকেলে উত্তরা (আজমপুর ফুটওভার ব্রিজের পূর্ব পাশে) সপ্তম শ্রেণির ছাত্র শহীদ সামিউ আমান নুরকে (১৩) গুলি করে হত্যা করায় তার পিতা মোহাম্মদ আমানুল্লাহ শেখ হাসিনাসহ ৫৮ জনকে আসামি করে অভিযোগ করেছেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩ এর ৩(২) ও ৪(১) (২) ধারা অনুযায়ী গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর গণহত্যার ঘটনায় এপর্যন্ত তদন্ত সংস্থায় মোট ১৭টি অভিযোগ জমা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬টি সাম্প্রতিক সময়ের গণহত্যার ঘটনায় ও একটি ২০১৩ সালে ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশের ঘটনায়।
মন্তব্য করুন