‘শেরপুরে হিজড়াদের সরকারি আবাসনে’ হামলার ঘটনায় যথাযথ তদন্তপূর্বক আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য পুলিশ সুপার, শেরপুরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৫ অক্টোবর প্রতিবেদনের জন্য ধার্য করা হয়েছে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) কমিশনটির চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ এই নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে হিজড়াদের পুনর্বাসনে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে সামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে হিজড়াদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। হিজড়াদের বৈষম্য দূরীকরণ, আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে যে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেখানে হিজড়া সম্প্রদায়ের মতো পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সরকারি আবাসনে সন্ত্রাসী হামলা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। রাতের আঁধারে হিজড়াদের সরকারি আবাসনে আক্রমণ মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
হিজড়াদের আবাসনে কারা কী উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছে তার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
অভিযোগ নামায় উল্লেখ করা হয়, শেরপুরে সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের সুতিরপাড় এলাকায় তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) জনগোষ্ঠীদের সরকারি আবাসনে রাতের আঁধারে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ লাঠিসোটাঁসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটায়।
হামলায় হিজড়াদের মারপিট, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রাণে বাঁচতে আতঙ্কিত হিজড়ারা বুধবার মধ্যরাত থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বারান্দায় আশ্রয় নেয়। এ ঘটনায় শেরপুর সদর থানায় শেরপুর জেলা হিজড়া সংগঠনের সভাপতি নিশি সরকার বাদী হয়ে ২৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২০/২৫ জনকে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
মন্তব্য করুন