সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামন খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়েছে।
বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) ট্রাইবুনালে এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে আরও রয়েছেন- সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ও আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক ডাক টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহদেম পলক, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাগ আল মামুন, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ও ডিবি প্রধান হারুন আর রশিদ, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক মো: হারুন আর রাশিদ, উত্তরা পূর্বা থানার তৎকালীন ওসি, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহাম্মাদ হোসেন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসিম কুমার, আওয়ামী লীগের সদস্য মোস্তাক আহমেদ রুহী, সাজ্জাদুল হাসান ও যুব মহিলা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক অপু উকিলসহ মোট ২৩ জন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ সাইফুল ইসলাম সেকুলের ভাই মো. খাইরুল ইসলাম আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কো-অর্ডিনেটর বরাবর এই অভিযোগ দাখিল করেন।
আবেদনে তিনি আনীত অভিযোগ গ্রহণ করে তদন্ত-পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি পেশ করেন।
অভিযোগের সঙ্গে জাতীয় দৈনিক কালেরকণ্ঠসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন এবং বিভিন্ন ডকুমেন্ট সংযুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগে ঘটনার সময়কাল গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সমগ্র বাংলাদেশ উল্লেখ করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন ১৯৭৩ এর ৩(২) ও ৪(১)/৪(২) ধারা অনুযায়ী গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। যা দেশেবিদেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও টিভি নিউজে প্রকাশিত হয়।
অভিযোগে বলা হয়, আসামিদের নির্দেশ ও পরিকল্পনায় অন্যান্য আসামি দেশীয় ও বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে তাদের নির্মূল করার উদ্দেশ্যে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠন করেছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার অফিস এই অভিযোগ রিসিভ করেছে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফা দাবির সাথে একাত্ম হয়ে গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ এবং সাধারণ মানুষের গণঅভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তার শাসনামলে সংঘটিত নানা অপরাধ নিয়ে এখন সংক্ষুব্ধরা দেশের বিভিন্ন আদালতে মামলা করছেন।
মন্তব্য করুন