রাজধানীর হাজারীবাগ থানায় অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ের মামলায় গ্রেপ্তার ধানমন্ডি জোনের সাবেক অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ হিল কাফীর ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামানের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিন সকালে গ্রেপ্তার কাফীকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. আবুল কালাম আজাদ। শুনানি শেষে আদালত তার ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামি ধানমন্ডি জোনে অতিঃ উপ-পুলিশ পদে নিয়োজিত থাকা কালে মামলার অপর সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, পুলিশ কর্মকর্তা মারুফ হোসেন সরদার, হাজারীবাগ থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া এবং আসামি মাইনুদ্দিন কাজলসহ অজ্ঞাত নামা ১০/১২ জন মিলে ২০১৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ধানমন্ডি থেকে মামলার বাদীকে অপহরণ করে। অতঃপর হাজারীবাগ থানাধীন অজ্ঞাত স্থানে আটকিয়ে মুক্তিপণ চেয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ বাদীর পরিবার থেকে আদায় করে।
এর আগে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়। ডিবির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সম্প্রতি আশুলিয়া এলাকার একটি ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয়। ওই ফুটেজে দেখা যায়, গত ৫ আগস্ট আশুলিয়া থানা এলাকায় পুলিশ সদস্যরা একটি ভ্যানে একাধিক লাশ তুলছে। ওই মরদেহগুলো পরে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানে তুলে তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলে তা তদন্ত করতে ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঢাকা উত্তর জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ছিলেন আব্দুল্লাহ হিল কাফী। তার নির্দেশেই লাশগুলো পুলিশের পিকআপ ভ্যানে তোলার পর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তাকে শনাক্ত করার পর তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
উল্লেখ্য, আব্দুল্লাহ হিল কাফী দীর্ঘদিন ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার ধানমন্ডি জোনে দায়িত্ব পালন করেন। তখন থেকেই সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ছেলের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। সে বন্ধুত্বের সম্পর্কের সূত্র ধরে তিনি পুলিশে প্রভাবশালী কর্মকর্তা হিসেবেও পরিচিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন