সাইফুল্লাহ হত্যার অভিযোগে লালবাগ থানার মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়েছে। সোমবার (০২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আক্তারুজ্জামানের আদালতে তার উপস্থিতিতে এ রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল পুরান ঢাকার বংশাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় লালবাগের আজিমপুর সরকারি আবাসিক এলাকায় আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় তার বাবা কামরুল হাসান ১৯ আগস্ট লালবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫২ জনকে আসামি করা হয়।
জানা গেছে, কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় গুলিতে ছাত্র নিহতের একাধিক মামলায় তিনি এজাহারভুক্ত আসামি। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দলটির অন্য নেতাদের মতো হাজী সেলিমও আত্মগোপনে চলে যান। সাম্প্রতিক এই ঘটনা ছাড়াও পুরান ঢাকায় হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে জমি ও ভবনসহ বিভিন্ন দখলের অভিযোগ পুরোনো।
ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (গোয়েন্দা-উত্তর) মো. রবিউল হোসেন ভুঁইয়া জানিয়েছেন, হত্যা মামলার আসামি হিসেবে হাজী সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
পুরান ঢাকার বহুল আলোচিত হাজী সেলিম অসুস্থ থাকায় গত জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-৭ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি হন তার ছেলে সুলাইমান সেলিম। তার আরেক ছেলে ইরফান সেলিম স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে এই দুই ভাইও পলাতক রয়েছেন। ৫ আগস্টের পর পুরান ঢাকার বিভিন্ন থানায় হওয়া মামলায় তারাও আসামি।