সম্প্রতি বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থনে মধ্যপ্রাচ্যে দেশ ওমানের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন করতে গিয়ে বাংলাদেশের প্রবাসীরা গ্রেপ্তার হন। গ্রেপ্তার বাংলাদেশিদের মুক্তির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) হাইকোর্টের নির্দেশনা থেকে এ তথ্য জানা যায়।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থনে ওমানের সালালা শহরসহ দেশটির বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন করতে গিয়ে প্রবাসীরা গ্রেপ্তার হন। যার মধ্যে এখন পর্যন্ত অনেকের সাজাও হয়েছে।
ওমানে গ্রেপ্তার সব প্রবাসীদের মুক্তির ব্যবস্থা করে সেখানে কাজের ব্যবস্থা করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মনির উদ্দিন।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলন একটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন, যা বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে সারা বিশ্বের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন হিসেবে ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে জীবিকার তাগিদে বাংলাদেশের নাগরিকরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চাকরি বা ব্যবসা করে আসছে। এর মধ্যে একজন প্রবাসীর নাম আব্দুল্লাহ আল মামুন, পাসপোর্ট নং A03273145, যিনি আমার প্রতিবেশী। উনি ওমানের সালালাতে গত ৩০ জুলাই কোটা আন্দোলন থেকে আরও অনেকের সাথে গ্রেপ্তার হন।গ্রেপ্তার হওয়া প্রবাসীদের অনেকের সাজা হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।
আবদনে আরও বলা হয়, আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ অনেকে জেলে আছে, যেকোনো মুহূর্তে সাজা দেয়া হবে। প্রবাসীদের পরিবার দেশে খুব উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে। গ্রেপ্তার সব প্রবাসীকে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মুক্ত করে ওমানে আবার কাজে নিয়োগ করলে প্রবাসীদের পরিবারের অনেক উপকার হবে।
এর আগে বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থনে দুবাইয়ে বিক্ষোভ করায় ৫৭ জন বাংলাদেশিকে কারাদণ্ড দেয় সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার। এসব প্রবাসী কর্মীকে মুক্ত করতে আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।
১২ আগস্ট (সোমবার) সংযুক্ত আরব-আমিরাতের মিশন প্রধান মুহাম্মদ মিযানুর রহমানের সই করা এক নোটিশের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
মন্তব্য করুন