রাজধানীর বাড্ডা থানায় এক হত্যা মামলায় এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে নেওয়া হয়। পরে শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।
শনিবার (২৪ আগস্ট) সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আলমগীর হোসেনের আদালত এ নির্দেশ দেন। এর আগে বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে তাকে আদালতে তোলা হয়।
সিলেট জেলা পুলিশের আদালত-পরিদর্শক জামশেদ আলম বলেন, আসামি মানিক আদালতকে জানিয়েছেন তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। আদালত এ বিষয়টি আমলে নিয়ে জেলকোড অনুযায়ী তাকে চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আসামি সাবেক বিচারপতি হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত জেলকোড অনুসারে তাকে সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে আদালত বিচারপতি মানিককে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় দায়ের করা মামলায় এজহারভুক্ত আসামি হওয়ায় আদালত তাকে জেলহাজতে আটক রাখার নির্দেশ দেন। আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী আদালতে ছিল না বলে জানান জামশেদ আলম।
এর আগে, শনিবার বিকেল ৪টায় কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আসামি সাবেক বিচারপতি মানিককে আদালতে তোলা হয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়ায় আগে থেকেই উৎসুক জনতা আদালত চত্বরে জড়ো হন।
বিকেলের দিকে সাবেক বিচারপতি মানিককে নিয়ে পুলিশের গাড়ি আদালত চত্বরে প্রবেশ করতেই মিছিল শুরু করেন বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে পুলিশ ভ্যান থেকে নামানোর সময় মানিককে লক্ষ্য করে ডিম ও জুতা নিক্ষেপ করেন জনতা। একপর্যায়ে তাকে মারধরের চেষ্টা করা হয়। অবশ্য পুলিশ নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাকে এজলাসে নিয়ে যায়।
এর আগে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে অবৈধভাবে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটক করে বিজিবি।
পরে সময়ে শনিবার (২৪ আগস্ট) ভোরের দিকে সিলেটের কানাইঘাট দনা সীমান্ত বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে কানাইঘাট থানায় হস্তান্তর করেন। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গত বুধবার (২১ আগস্ট) রাজধানীর বাড্ডা থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামির তালিকায় রয়েছেন সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিক।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের বিরুদ্ধে জিয়া পরিবার নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের অভিযোগে একটি মামলা হয়