অর্থপাচার আইনের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক আবুল কাশেমের আদালত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাসের রায় দেন। খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিদেশে অর্জিত আয় বৈধ হওয়ায় ওই আয়ের টাকা তিনি দেশে আনতে পারবেন বলে আদেশে উল্লেখ করেন বিচারক।
খন্দকার মোশাররফ হোসেনের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রায় ঘোষণার সময় খন্দকার মোশাররফ হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী থাকাকালে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১ টাকা পাচারের অভিযোগে ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি মানি লন্ডারিং আইনে রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করে দুদক। এজাহারে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী থাকার সময় খন্দকার মোশাররফ হোসেন ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা বিদ্যমান আইন না মেনে বিদেশে পাচার করেছেন। তিনি যুক্তরাজ্যের লয়েডস টিএসবি ব্যাংকে স্ত্রীর সঙ্গে যৌথ নামে আট লাখ চার হাজার ১৪২ দশমিক ১৩ ব্রিটিশ পাউন্ড জমা করেন। বর্তমান হারে ওই ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যমান বাংলাদেশি টাকায় নয় কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১। ব্যাংকের বার্ষিক বিবরণীতে বর্তমানে ওই হিসাবটিকে ‘ফ্রিজ’ (জব্দ) দেখানো হয়েছে। এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, এভাবে বিদেশে জমা করা অর্থ বা হিসাবের বিষয়ে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার সম্পদ বিবরণী বা আয়কর বিবরণীর কোথাও উল্লেখ করেননি।
গত ২০১৫ সালের, ২৮ অক্টোবর অর্থ পাচারের মামলায় খন্দকার মোশারফ হোসেন বিরুদ্ধে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ অভিযোগ গঠন করেন।
মন্তব্য করুন