সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন অবৈধ নয়, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার (১৯ আগস্ট) এ বিষয়ে দায়ের করা এক রিটের শুনানি শেষে আদালত এ রুল জারি করেন।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন অবৈধ নয়, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার (১৯ আগস্ট) এ বিষয়ে দায়ের করা এক রিটের শুনানি শেষে আদালত এ রুল জারি করেন।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন এ রিট দায়ের করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৩০ জুন তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হয়। এর তিনদিন পর ৩ জুলাই রাষ্ট্রপতির বিলে স্বাক্ষর করেন। এই সংশোধনীতে সংবিধানে কিছু তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়।
সংশোধনীতে সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা পুনর্বহাল করা হয় এবং রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি সংযোজন করা হয়।
পাশাপাশি বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের নায়ক শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির জনক হিসেবে স্বীকৃতিও দেওয়া হয়। একইসঙ্গে বাতিল করা হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা। যদিও তাতে আরও দুই মেয়াদ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার রাখা যেতে পারে বলে সুপারিশও করা হয়। এ ছাড়া জাতীয় সংসদে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়। এছাড়া এই সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে ৭ অনুচ্ছেদের পরে ৭ (ক) ও ৭ (খ) অনুচ্ছেদ সংযোজন করে সংবিধান বহির্ভূত পন্থায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের পথ রুদ্ধ করা হয়।