জিয়াউর রহমানকে ‘জাতির পিতা’ ঘোষণা দেওয়ার অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা পুনরায় তদন্তের আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
সোমবার (২৯ জুলাই) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিবির জমা দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণের জন্য তারিখ ঠিক করা ছিল। তবে এদিন রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি নজরুল ইসলাম শামীম মামলাটি পুনরায় তদন্তে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে আদেশের জন্য দিন রেখেছেন বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী জুয়েল মিয়া।
সম্প্রতি এ মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করে ডিবি পুলিশ। অভিযোগপত্রে তারেক রহমানকে পলাতক দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করেন মামলার এ তদন্তকারী কর্মকর্তা।
এর আগে, ১৭ জানুয়ারি ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন অভিযোগপত্রে ‘দেখিলাম’ লিখে স্বাক্ষর করেন। এরপর মামলাটি বিচারের জন্য সাইবার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।
২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল শাখা ছাত্রলীগের উপত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন।
সেখানে বলা হয়, বিএনপির ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে লন্ডনে আয়োজিত এক কর্মিসভায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বক্তব্যের একপর্যায়ে বলেন, আমাদের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের জাতির পিতা। আমাদের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শুধু বাঙালি জাতি না, বাঙালিসহ ৫৫ হাজার ১২৬ বর্গমাইলের মধ্যে যতগুলো জাতি বাস করে- যারা বাংলাদেশি জাতির পরিচয় বহন করে, যারা নিজেদের বাংলাদেশি হিসেবে পরিচয় দেয়, সেই বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জাতির পিতা, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের জাতির পিতা। আমরা কি আজ সবাই মিলে এ প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারি? তাহলে আজকে থেকে সিদ্ধান্ত হলো- শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের জাতির পিতা।
মামলায় বলা হয়, কর্মিসভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাংলাদেশে চলমান স্থিতিশীল পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার উদ্দেশে এমন মনগড়া মিথ্যা তথ্য সংবলিত উদ্ভট যুক্তি দেন। তিনি জাতির পিতাকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করেছেন।
সম্পূরক অভিযোগপত্রে বলা হয়, তারেক রহমান ওই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২১/২৫/২৯/৩১ ধারার অপরাধ করেছেন, ডিবির তদন্তে তা ‘প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত’ হয়েছে।
মন্তব্য করুন