সিনিয়র স্টাফ নার্স খান গোলাম র্মোশেদের আবেদন করা মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার (২৪ জুলাই) শুনানি শেষে মামলাটি গ্রহণের মত কোনো উপাদান না থাকায় ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ জুলফিকার হায়াত মামলাটি খারিজ করে দেন।
মামলার আবেদনে কালবেলার সম্পাদক ও প্রকাশক সন্তোষ শর্মা, অনলাইন বিভাগের প্রধান পলাশ মাহমুদ, কালবেলার স্টাফ রিপোর্টার (অনুসন্ধান) জাফর ইকবাল, মাল্টিমিডিয়া বিভাগের ডেপুটি ইনচার্জ অমিত হাসান রবিন, নিউজ প্রেজেন্টার মৌমিতা দেবনাথ, সাব এডিটর এনামুল হোসেনসহ আটজনকে আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১২ জুলাই দৈনিক কালবেলায় ‘এক নার্সের এত ক্ষমতা’ শীর্ষক প্রতিবেদনে মামলার বাদী সম্পর্কে ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও মানহানিকর তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে গত ৯ জুলাই কালবেলার জাফর ইকবাল হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে তার কাছে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। সেই চাঁদার টাকা পরদিন না দেয়ার তার বিরুদ্ধে দৈনিক কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ করা হয় বলে মামলার আবেদনে দাবি করেন ওই নার্স। এর আগে গত ১২ জুলাই দৈনিক কালবেলায় ‘এক নার্সের এত ক্ষমতা!’ শীর্ষক একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, সিনিয়র স্টাফ নার্স খান মো. গোলাম মোর্শেদ সরকারি চাকরি করলেও মানেন না সরকারি নিয়মকানুন। তোয়াক্কা করেন না মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের। শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ের শাস্তি পেয়েও শোধরাননি। মন্ত্রণালয়ের বড় কর্তাদের বিরুদ্ধে তিনি নিয়মিতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন কুৎসিত ভাষায় লেখালেখি করেন। করেছেন নারীদের নিয়েও অশ্লীল মন্তব্য। সাইবার অপরাধের দায়ে আটক হয়ে জেলও খেটেছেন। তাকে সতর্ক করে নোটিশ দিয়েছিল মন্ত্রণালয়। ঢাকা থেকে জামালপুরে বদলি করা হলেও তিনি সেখানে যোগদান করেননি। বরং মন্ত্রণালয়ের বদলির আদেশের বিরুদ্ধে উল্টো করেছেন আপিল। তাকে নিয়ে একই সঙ্গে বিপাকে মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন ও স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদ।
মন্তব্য করুন