মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা ধামাচাপা দিতে মোহাইমেনুল ইসলাম মাহি (১৪) নামে গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেছে তার কয়েকজন সহপাঠী। এ ঘটনায় ৩ সহপাঠীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে গত ২৫ জুন আহত শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেন।
আহত মোহাইমেনুল ইসলাম মাহি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পশ্চিম চত্ত্বর এলাকার মো. মহসিন মিয়ার ছেলে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো ময়মনসিংহের ভালুকা মডেল থানার বড়াইদ গ্রামের জোবায়ের রহমান আলভী , গাজীপুর সিটি করপোরেশনের হাতিয়াব এলাকার স্থানীয় তাইফ ইবনে মোফাসাল ও মারিয়ালী কলাবাগান এলাকার হৃদয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে জোবায়ের রহমান আলভী গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. কামরুল ইসলাম এবং মামলার বাদী ভিকটিমের মা ফারিয়া আক্তার জানান, গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র মোহাইমেনুল ইসলাম মাহির মোবাইল ফোন হারিয়ে যায়। পরে গত ২৪ জুন সকালে মাহির তিন সহপাঠী জোবায়ের রহমান আলভি, তাইফ ইবনে মোফাসাল এবং তারেক আজিজ মোবাইল পাওয়া গেছে বলে মারিয়ালী তাকে কলাবাগানের পাগলার মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তারা এবং আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা হৃদয় নামে একজন মিলে ভিকটিমের সঙ্গে থাকা স্মার্টফোনটি ছিনিয়ে নেয়। কেউ যেন বিষয়টি জানতে না পারে সেজন্য মাহিরকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। এক পর্যায়ে পাশের একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাহিরের গলা কেটে মৃত ভেবে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে কয়েকজন যুবক তাকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এসআই কামরুল ইসলাম আরও বলেন, এ ঘটনার পর প্রথমে আলভীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যে বাকিদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আহত শিক্ষার্থীর বাবা মো. মোহসিন বলেন, আমার ছেলের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। সে এখন গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
মন্তব্য করুন