চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে একের পর এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটিয়েই চলছে। শুক্রবার (২৮ জুন) রাত আটটার দিকে উপজেলার মনোহরপুর আলা মোড় নামক স্থানে মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খানকে (সুরোদ্দীন) কুপিয়ে জখম করেছে ‘হেলমেট বাহিনী’। এর আগে একইভাবে উথলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নানকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে হেলমেট পরিহিত দুজন ব্যক্তি।
স্থানীয়রা জানান, মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খাঁন রাত আটটার দিকে আলা মোড় থেকে হেটে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় পেছন থেকে মোটরসাইকেলযোগে হেলমেট পরিহিত দুজন ব্যক্তি তার পিঠের ডান দিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মেরে পালিয়ে যায়। পরে চেয়ারম্যানের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন এবং তাকে রক্তাক্ত ভাবে উদ্ধার করে দ্রুত জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে যশোর সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। তবে তিনি আশঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে।
খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ, জীবননগর থানার ওসি এস এম জাবীদ হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পরে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খাঁন রাতে অজ্ঞাত ব্যক্তি দ্বারা আহত হয়েছেন। পেছন থেকে কে বা কারা এসে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছে। আমরা স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দ্রুত অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’
উল্লেখ্য, গত ২৮ মে সকাল ১০টার দিকে দর্শনা থেকে ব্যক্তিগত কাজ শেষে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার সময় দুর্বৃত্তের ধারালো অস্ত্রের কোপে রক্তাক্ত জখম হন চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান। তিনি বর্তমানে ঢাকার মহাখালীতে জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এসব হামলার ঘটনায় এলাকায় আতংক বিরাজ করছে।
মন্তব্য করুন