রংপুর মহানগরীতে সাদ্দাম হোসেন নামের এক যুবক খুনের ঘটনায় পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। নগরীরর নগরীর হাজীরহাট এলাকায় পরকীয়ার জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৮ জুন) বিকেলে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন তার কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নগরীর হাজীরহাট রনচন্ডী এলাকার তমিজ উদ্দিনের স্ত্রী শাহের বানু ওরফে শাহনাজ (৩০) ও একই এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬)।
আবু মারুফ হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকালে রংপুর নগরীর হাজীরহাট থানাধীন রণচণ্ডী ধনীপাড়া এলাকার একটি ধানখেত থেকে সাদ্দাম হোসেন (৩৬) নামের এক যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার উদ্ধার করে পুলিশ। সাদ্দামের গলা, ঘাড় ও মাথায় জখম ছিল। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা হয়। পরে মহানগর পুলিশের একাধিক দল অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে একই এলাকার শাহের বানু ওরফে শাহানাজকে (৩০) নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর অভিযুক্ত ওই এলাকার মনজুরুল ইসলামকেও (৩৬) নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
শাহের বানুর সঙ্গে প্রতিবেশী মনজুরুলের পরকীয়া গড়ে ওঠে উল্লেখ করে আবু মারুফ হোসেন আরও বলেন, অপর প্রতিবেশী সাদ্দাম হোসেনও শাহানাজের পরকীয়া প্রেমিক। মনজুরুল ইসলাম বুধবার (২৬ জুন) রাত ১১টার দিকে শাহের বানুর বাড়িতে যান। রাত ২টার দিকে ফেরার সময় উঠানে সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে মনজুরুলের দেখা হয়। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। এ সময় মনজুরুল তার সঙ্গে থাকা দা দিয়ে সাদ্দামের গলা, ঘাড় ও মাথায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে মরদেহ ধানক্ষেতে ফেলে রেখে বাড়িতে চলে যান। পরে সেই খুনের খবর শাহের বানুকে ফোন করেও জানায় মনজুরুল।
তিনি বলেন, আসামি মনজুরুল এরইমধ্যে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন। এ ছাড়া হত্যায় ব্যবহৃত দা ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।
সহকারী পুলিশ কমিশনার পরশুরাম জোন মো. আল ইমরান হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়।
উল্লেখ্য সহকারী পুলিশ কমিশনার পরশুরাম জোন মো. আল ইমরান হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিনা করে মাত্র ২৪ ঘণ্টার কম সময়ে আসামি গ্রেপ্তার হয়। আসামিরা বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
মন্তব্য করুন