শেখ মমিন, রাজবাড়ী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২৪, ১০:২৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

রাজবাড়ীর গড়াই নদীতে অবৈধভাবে চলছে বালু উত্তোলন!

নদী থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। ছবি : কালবেলা
নদী থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। ছবি : কালবেলা

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির নারুয়া গড়াই নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে নদী তীরবর্তী বাড়িঘর ও ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা। প্রতি বছরই নতুন করে বাড়ছে ভাঙনের পরিধি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রভাবশালী মহল ক্ষমতার অপব্যবহার করে এসব বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে। কিন্তু নীরব ভূমিকায় রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

উপজেলার নারুয়া খেয়া ঘাটের অদূরে বাকসাডাঙ্গী এলাকায় গড়াই নদীর মাঝখানে অবৈধ ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে প্রতিদিন ভোর থেকে রাত পর্যন্ত চলছে তাদের বালু তোলার কাজ। এতে করে পানির প্রবাহের গতি পরিবর্তন হয় নদী পার ভেঙে এলাকার ফসলি জমিসহ বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। তবে বালু উত্তোলনকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে কিছুই বলতে সাহস পাচ্ছে না স্থানীয়রা।

জানা গেছে, এই বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত নারুয়া ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাদশা মোল্লাসহ স্থানীয় প্রভাবশালী একাধিক ব্যক্তি। যদিও বালু উত্তোলনের জন্য তাদের কাছে কোনো অনুমতি নেই। এতে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নদীর মাঝখানে ও কুল ঘেঁষে তিনটি ড্রেজার মেশিন বসানো। এর প্রতিটি মেশিনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে একটি করে বাল্কহেড। এসব ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে দেদার তোলা হচ্ছে বালু। সেই বালু বাল্কহেডের এর মাধ্যমে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

বাকসাডাঙ্গী গ্রামের একাধিক বাসিন্দা বলেন, এই অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে পাকা রাস্তাসহ বাড়িঘর ফসলি জমি প্রতিনিয়ত নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

তারা আরও বলেন, নদী থেকে বালু তোলার কারণে নারুয়া বাজার থেকে বাকসাডাঙ্গী হয়ে কোনাগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বেশিরভাগ অংশ নদীগর্ভে চলে গেছে। বাকি যতটুকু আছে এটুকু চলে গেলে কৃষক তার উৎপাদিত ফসল নারুয়া হাটে আনতে পারবে না। সেই সঙ্গে এই সড়কটি ভেঙে গেলে বাকসাডাঙ্গী, কোনাগ্রাম ও চর-ঘিকমলার মাঠে নদীর পানি ঢুকে পড়বে। এতে করে আর ফসল আর উৎপাদন করতে পারবে না কৃষক।

ড্রেজার মেশিন চালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমরা কুষ্টিয়া থেকে আসছি। নারুয়ার বাদশা মোল্লা আমাদের ভাড়া করে নিয়ে আসছে। আমরা মাঝ নদী থেকে বালু তোলার পরে কুলে গিয়ে আনলোড করি। প্রশাসন বন্ধ করলে আমরা চলে যাব।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে বাদশা মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো কথাই বলতে রাজি হয়নি।

বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাবেরী রায় বলেন, নারুয়াতে আমাদের কোনো বালু মহল নেই। যদি কেউ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দিনটি কেমন কাটবে, জেনে নিন রাশিফলে

হাসপাতালের সড়কে ভাসমান সেতু 

প্রথমার্ধে ব্রাজিলকে রুখে দিয়েছে কলম্বিয়া

চোরকে চিনে ফেলায় বৃদ্ধাকে হত্যা

কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

০৩ জুলাই : নামাজের সময়সূচি

বুধবার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

এক পরিবর্তন নিয়ে কলম্বিয়ার মুখোমুখি ব্রাজিল

ফুটবলে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়লেন ঢাবি ছাত্র 

লোহাগাড়ায় খালের গর্ভে সড়ক, দুশ্চিন্তায় স্থানীয়রা

১০

ত্রিমুখী আন্দোলনে দ্বিতীয় দিনের মতো অচল যবিপ্রবি

১১

কালবেলার আসাদ সবুজ বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত 

১২

সাকিব-শান্তদের ওপর ব্যক্তিগত আক্রমণ মানবে না বিসিবি

১৩

কুলাউড়ায় ফের বন্যার পানি বাড়ছে, আতঙ্কিত বানভাসীরা

১৪

নিজের সেরা এখনও দেওয়ার বাকি আছে মিলারের

১৫

ডেমিরালের জোড়া গোলে কোয়ার্টারে তুরস্ক

১৬

রাসেল ভাইপারের ফাঁসি দিল গ্রামবাসী

১৭

কোচ-গ্রাউন্ডস ম্যানদের বেতন বাড়ছে

১৮

ঝিনাইদহে সাংবাদিক লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

১৯

বেপরোয়া ইজিবাইক কেড়ে নিল কলেজ শিক্ষকের প্রাণ

২০
X