রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় পদ্মা নদীতে এক জেলের জালে প্রায় ৩০ কেজি ওজনের একটি মহাবিপন্ন বাঘাইড় মাছ ধরা পড়েছে।
শুক্রবার (২৮ জুন) সকালে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের মাছ বাজারে নিলামের মাধ্যমে বাঘাইড় মাছটি ৩৯ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।
স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ মাছটি অন্যত্র বিক্রির জন্য কেনেন। যদিও মহাবিপন্ন হওয়ায় এই মাছ ধরা ও বিক্রি করা দণ্ডনীয় অপরাধ। এক সপ্তাহ আগেও প্রায় ৩৫ কেজি ওজনের আরেকটি বাগাইড় এই বাজারে বিক্রি হয়।
গোয়ালন্দে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজবাড়ী সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোস্তফা আল রাজীব বলেন, বাগাইড় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন-২০১২ এর আওতাভুক্ত হওয়ায় তারা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেন। মাছটি মৎস্য সংরক্ষণ আইনের আওতায় আনতে বিভিন্ন মহলে উত্থাপন করেছেন। চাইলে বন বিভাগের সহায়তায় উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ব্যবস্থা নিতে পারে।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, বিষয়টি আমার জানা নাই। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে থাকলে বন বিভাগের সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় মৎস্যজীবীরা জানান, সকালে গোয়ালন্দের কুশাহাটা এলাকায় পদ্মা নদীতে জাল ফেলেন পাবনার বাঘাবাড়ি এলাকার জেলে গোবিন্দ হালদার। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর ঝাঁকি দিলে বুঝতে পারেন, বড় কিছু আটকা পড়েছে। পরে জাল নৌকায় তুলে দেখেন, বড় একটি বাঘাইড় মাছ। পরে বিক্রির জন্য দৌলতদিয়া ঘাটের মাছ বাজারে মোহন মণ্ডলের আড়তে আনেন। নিলামে ওঠানোর পর সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ ১ হাজার ৩০০ টাকা কেজি দরে মাছটি কিনে নেন।
মাছ ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ বলেন, সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে বাগাইড়টি তিনি ৩৯ হাজার টাকায় কিনেছেন। ওজন ২৯ কেজি ৬০০ গ্রাম। মাছটি ফেরিঘাটের পন্টুনে রশি দিয়ে বেঁধে রেখে পরিচিত ব্যক্তিদের মধ্যে ক্রেতা খুঁজছেন। কেজি প্রতি ১০০ টাকা লাভে বাগাইড়টি বিক্রি করবেন। বাগাইড় শিকার, প্রকাশ্যে নিলামে বিক্রির ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের বাধার সম্মুখীন হননি বলেও জানালেন।
মন্তব্য করুন