সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আলমগীর আলমের বিরুদ্ধে ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, তার বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়েও সঠিক সময়ে না করে হয়রানির অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
শুক্রবার (২৮ জুন) অভিযোগ প্রসঙ্গে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ভুক্তভোগী হলেন, ওই ইউনিয়নের খেরুদিয়া গ্রামের আবদুর রহমান বকাউলের স্ত্রী আমেনা বেগম লাকী। এ ঘটনায় গত সোমবার চাঁদপুর জেলা প্রশাসক বরাবর তিনি লিখিত অভিযোগও করেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, তার স্বামীর নামীয় ৯ শতক জমি খাজনা দাখিল অনলাইন করার জন্য ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যান। কিন্তু ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা আলমগীর আলম কাজটি নিয়ে টালবাহানা করেন। তিনি এই কাজের জন্য ওই কর্মকর্তাকে দুই হাজার ৫০০ টাকা দিলেও সেবা পাননি।
পরবর্তী সময়ে গেলে আলমগীর আলম ও অফিসের ঝাড়ুদার তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। এসব কারণে তিনি প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেছেন।
আমেনা বেগম বলেন, এই কর্মকর্তার কাছে সেবার জন্য গেলে সবাইকে হয়রানি করেন। তিনি প্রকাশ্যে বলেন, সরকার যে কয় টাকা বেতন দেয়, তা দিয়ে সংসার চলে না। টাকা না দিলে আমি কোনো কাজ করব না। আমি নিজে একজন ভুক্তভোগী এবং যারা তার কাছে গিয়ে হয়রানির শিকার হন, সবার দাবি তার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
অভিযোগ অস্বীকার করে ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আলমগীর আলম বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সত্যতা যাচাই করছে। অভিযোগের আলোকে আমি ও আমেনা বেগম লাকী বক্তব্য দিয়েছি। আপাতত এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।
তিনি আরও বলেন, সেবা নিতে আসা আমেনা বেগম লাকী যেসব অভিযোগ করেছেন তা সঠিক নয়। উনি যখন আমার কাছে সেবা নিতে এসেছেন। আমরা তখন অফিসের নিজস্ব কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আর ওনার কাগজপত্র ও মোবাইল নম্বর নিয়ে সমস্যা ছিল। সে জন্য কাজটি করতে দেরি হয়েছে। তবে আমি ওনার কাজ সম্পন্ন করেছি।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অভিযোগকারী আমেনা বেগম লাকী বলেছেন তাকে হয়রানি ও নামজারির জন্য অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়েছে। আর আলমগীর আলম তা অস্বীকার করেছেন।
মূল সত্যটা বেরিয়ে না আসায় এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমি তাদের বক্তব্যের বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানাব। এরপর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন