বগুড়ার সোনাতলায় পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিশালদেহী হাতি। এতে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে পারছে না শিক্ষার্থী, পথচারীসহ কোনো যানবাহন। পিঠে বসে থাকা মাহুত হাতির শুঁড় দিয়ে পথচারীদের ও গাড়ি চালকদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করছেন।
হাতির শুঁড় এগিয়ে দিচ্ছে পথচারীদের কাছে। শুঁড়ের মাথায় টাকা গুজে দিলেই সরে যায় হাতিটি। পথচারীদেরকে জিম্মি করে হাতি দিয়ে চলছে চাঁদাবাজি। পথচারীরা ভয়েই টাকা বের করে দেয়। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) উপজেলার সোনাতলা-হরিখালী, চরপাড়া-পাকুল্যা, সৈয়দ আহম্মদ কলেজ-হাটকরমজা, গণশারপাড়া-নারচীসহ বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, হাতি দিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে টাকা তুলছেন মাহুতরা। টাকা না দিলে পথচারীদের যেতে দেওয়া হয় না। শুঁড়ে টাকা দিলেই যেতে দেওয়া হয় সবাইকে।
এ বিষয়ে হাটকরমজা এলাকার মতিউর রহমান নামের এক পথচারী বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর আনুমানিক ১২টার সময় আমি সৈয়দ আহম্মেদ কলেজ স্টেশন অতিক্রম করার সময় হাতির মাহুত হাতি দিয়ে আমার পথরোধ করে ২০০ টাকা আদায় করেছে।
আজাদুল ইসলাম নামের অপর এক পথচারী বলেন, বিকেল সাড়ে ৫টার সময় সর্জনপাড়া বাঙ্গালী নদী অতিক্রম করার সময় মাহুত ব্রিজের ওপর হাতি দিয়ে ব্যারিকেড দেয়। এ সময় মোটরসাইকেলে স্ত্রীসহ বাচ্চারা হাতি দেখে ভয়ে চিৎকার করে। এ সময় ওই হাতিকে ৫০০ টাকা দিয়ে আমাকে যেতে হয়েছে। এ ধরনের রাস্তায় হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির ঘটনা অহরহ ঘটছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হাতির মাহুত বলেন, আমরা ছয়জন গত দেড় মাস আগে সিরাজগঞ্জ থেকে বগুড়ার সোনাতলায় এসে বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করছি। হাতির খাবারের জন্য রাস্তায় রাস্তায় পথচারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে থাকি।
বাবু মিয়া নামের আরেক মাহুত বলেন, প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন রাস্তায় পথচারীদের হাতি দিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা তোলা সম্ভব হয়।
সোনাতলা থানার ওসি বাবু কুমার সাহা বলেন, লোকমুখে এ ধরনের চাঁদাবাজির কথা শুনেছি। তবে কেউ সুনির্দিষ্টভাবে থানায় এসে অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন