চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে ককটেলের বিস্ফোরণের পর গুলি করে জেলা পরিষদের এক সদস্যসহ দুজনকে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাতে রানিহাটি কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটায় দুর্বৃত্তরা।
নিহত জেলা পরিষদ সদস্যের নাম আব্দুস সালাম। তিনি শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের মো. এত্তাজ আলীর ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়নের আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। নিহত অপরজনের নাম মতিন আলী। তিনি রানিহাটি-ফতেপুরের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে। পেশায় তিনি শিক্ষক ছিলেন। তিনি সালামের সঙ্গে সে স্থানে উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, রানীহাটি কলেজের সামনে থাকা আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাছে বসে ছিলেন আব্দুস সালামসহ তার সঙ্গীরা। এ সময় দুর্বৃত্তরা অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। দুর্বৃত্তদের ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন আব্দুস সালাম। এ সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মতিন আলীকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হসাপাতলের চিকিৎসক ডা. মিম ইফতেখার জাহান বলেন, রাত ৯টায় মতিন আলীকে এখানে নিয়ে আসা হয়। তার মাথা ও পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে হাসপাতালে আনার পথেই তার মৃত্যু হয়।
শিবগঞ্জ থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, নয়ালাভাঙ্গা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। একপক্ষের নেতৃত্ব দেন আব্দুস সালাম। এই বিরোধের জের ধরে তাদের হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন