নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে দিন-দুপুরে আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ মিয়াকে হত্যা করেছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। এ সময় সুরুজ মিয়াকে বাঁচাতে গিয়ে তার ছেলেসহ তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিকেলে সদর উপজেলার কাশীপুর ইউনিয়নের ভোলাইল শান্তিনগর এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
নিহত সুরুজ মিয়া কাশীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্থবিষয়ক ছিলেন। আহতরা হলেন রাজু, জনি ও শাকিলসহ চারজন।
নিহতের ছেলের স্ত্রী চম্পা বলেন, সালাউদ্দিন সাল্লু ও তার বাহিনীর ৩০-৪০ জন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলাকায় হামলা চালায়। আমার শ্বশুরকে কুপিয়ে হত্যা করে। তাকে বাঁচাতে গেলে আনার স্বামী জনিসহ আরও কয়েকজনকে কুপিয়ে আহত করে। তারা সবাই হাসপাতালে রয়েছেন। আমরা সন্ত্রাসীদের বিচার চাই।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল জলিল জানান, এলাকায় ৩০-৪০ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ হামলা ও ভাঙচুর করে। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ মিয়া ও তার ছেলেসহ করেকজনকে কুপিয়ে আহত করে। এলাকার কয়েকটি বাড়ি ও দোকান ভাঙচুর করে তারা।
এদিকে সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে যাওয়া মডেল থানার ওসি নূরে আজম জানান, বালু সিমেন্ট ব্যবসা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সন্ত্রাসী সাল্লু ও তার বাহিনী হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ মিয়া ও তার ছেলেসহ চার জনকে কুপিয়ে জখম করে। সুরুজ মিয়া ঢামেকে হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। অন্য আহতরা হাসাপাতালে ভর্তি রয়েছে।
তিনি আরও জানান, সাল্লু ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আরও অভিযোগ রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এ ব্যাপারে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, নারায়ণগঞ্জ থেকে গুরুত্বের আহত অবস্থায় নিয়ে আসা সুরুজ মিয়া নামে এক লোক ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
তিনি আরও জানান- এ ছাড়া রাজু, জনি, রাসেল শাকিল নামে আরও কয়েকজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেকে মর্গে রাখা হয়েছে।
মন্তব্য করুন