বান্দরবানের থানচি উপজেলার তাজিংডং পাহাড়ের সিমপ্লাংপিপাড়া এলাকায় যৌথবাহিনীর অভিযানে কেএনএফের এক সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এ ছাড়াও দু’পক্ষের গোলাগুলিতে স্থানীয় দুই ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
বুধবার (২৬ জুন) সকালে সিমপ্লাংপিপাড়া এলাকায় দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী নিহতের পরিচয় নিশ্চিত হতে না পারলেও পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে থানচি থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পোস্ট মর্টেমের জন্য লাশ বান্দরবান সদর হাসপাতালে আনা হবে। নিহত ব্যক্তি পরনে কেএনএফের পোশাক পরিহিত ছিল । এ ছাড়াও মাইন বিস্ফোরণে দুই শ্রমিকও আহত হয়।
এদিকে থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ বলেন, হাসপাতালে একটি অজ্ঞাত পরিচয় লাশ নিয়ে আসা হয়েছে। লাশের মুখে গুলির আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। আহত দুজনকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন- সিমপ্লাংপিপাড়ার বৈথন সাং বম (১৭) ও শেরকরপাড়ার লাল হোম রুয়াত বম (৩০)।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, থানচি উপজেলার রেমাক্রী ইউনিয়নের তাজিংডং এলাকা সংলগ্ন এলাকায় কেএনএফ সদস্যরা অবস্থান করছে– এমন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনীর একটি দল অভিযানে যায়। তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে কেএনএফ সদস্যরা গুলি করলে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়।
আরও জানা যায়, গোলাগুলির এক পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে কেএনএফের এক সদস্য নিহত হয়। তবে ঘটনাস্থল দুর্গম এলাকায় হওয়ায় নিহত কেএনএফ সদস্যের নাম–পরিচয় পাওয়া যায়নি।
গত ২ ও ৩ এপ্রিল বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের তিনটি শাখায় কেএনএফ সদস্যরা হামলা চালিয়ে অস্ত্র, গুলি ও টাকা লুট করে। ওই ঘটনার পর সেনাবাহিনী নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করছে। এই অভিযানে এ পর্যন্ত ২২টি মামলায় ১০৯ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। নিহত হয়েছে কেএনএফের সন্দেহভাজন ৭ সদস্য।
মন্তব্য করুন