ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেছেন, আদালতের নির্দেশে আমরা আলামত উদ্ধারে ঝিনাইদহের দুটি পুকুরে অভিযান চালাচ্ছি। আমরা চেষ্টা করছি মোবাইল তিনটি উদ্ধারের। এই মোবাইলে ডিজিটাল অ্যাভিডেন্স রয়েছে। মোবাইলগুলো উদ্ধার হলে মামলাটি আরও সমৃদ্ধ হতো।
বুধবার (২৬ জুন) ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্বর এলাকার পিপীলিকা মার্কেটের পেছনের মার্কেটে ও স্টেডিয়ামের পিছনের পুকুরে পৃথক অভিযান পরিচালনার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
ডিবিপ্রধান বলেন, শিমুল ভুইয়ার জবানবন্দিতে ঝিনাইদহে কাজী কামাল বাবুর নাম উঠে এসেছে। তিনি মোবাইলে কার কার সঙ্গে কথা বলেছেন, ম্যাসেজে ছবি আদান-প্রদান করেছেন তার প্রমাণ রয়েছে। তাছাড়া বাবু নিজেই আদালতে মোবাইল তিনটি পুকুরে ফেলার কথা স্বীকার করেছেন। ফলে সাক্ষ্য আইনের ২৭ ধারায় পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য হিসেবে যা বলা হয়েছে সেটার জন্যই ঝিনাইদহে গ্যাস বাবুকে নিয়ে আসা।
হারুন বলেন, মোটা দাগে বলা যায়, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত সবাই বাংলাদেশি। আমরা ইতিমধ্যে এই কিলিং মিশনের ৭ জনের মধ্যে আমরা ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। ফয়সাল ও মুস্তাফিজ নামে দুইজন পলাতক রয়েছে। তারা নদী, সাগর, খাল আবার কখনো পাহাড়ে অবস্থান করছে বলে প্রযুক্তি ঘাঁটিয়ে জানতে পেরেছি।
তিনি বলেন, ডিবির একটি শক্তিশালী টিম খাগড়াছড়িতে অভিযান চালাচ্ছে। ঝিনাইদহ থেকে আমি সেখানে যোগদান করব। পলাতক ফয়সাল ও মোস্তাফিজের কাছে এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের অনেক তথ্য-উপাত্ত রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করা গেলে অনেক কিছু জানা যাবে।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এই মামলায় কোনো ভালো মানুষকে হয়রানি করা হবে না এবং অভিযুক্ত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সন্দেহভাজন আসামিদের মধ্যে মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল সংসদ সদস্য খুন হওয়ার আগে গত ২ মে কলকাতায় যান। তারা দেশে ফিরে আসেন ১৯ মে। এই দুজনকে হন্য হয়ে খোঁজ করছে ডিবি।
মন্তব্য করুন