কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার ছোটধুশিয়ায় চাঞ্চল্যকর নুরুল হক হত্যা মামলায় ৬ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার ( ২৬ জুন) দুপুরে কুমিল্লা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। এ মামলায় আরও ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। এ সময় দণ্ডপ্রাপ্তদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করে আদালত।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী এপিপি মোহাম্মদ জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, নুরুল হক হত্যা মামলার এজাহারে ২২ জন আসামি ছিল। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। রায় প্রদানের সময় আদালতের এজলাসে ১১ জন আসামি উপস্থিত ছিলেন। বাকি ৭ আসামি পলাতক রয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ মামলার বিচারকার্য চলাকালে ২ আসামি মারা গেছেন এবং ২ আসামিকে মামলা থেকে বেকসুর খালাস প্রদান করেছেন বিচারক। এ মামলায় ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, উপজেলার ছোটধুশিয়া গ্রামের মৃত আ. আজিজ মিয়ার ছেলে মো. মাছুম (৩৫), মৃত আ. লতিফের ছেলে তাজুল ইসলাম (৩২), আবদুল কাশেমের ছেলে মো. মোস্তফা (২৪), ডা. মনু মিয়ার ছেলে মোঃ কাইয়ুম (২৫), আবদুল ছাত্তারের ছেলে মো. কাইয়ুম (২৮), মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে মো. তবদুল হোসেন (৪০)।
অপরদিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, উপজেলার ছোটধুশিয়া গ্রামের মৃত ওয়াব আলীর ছেলে মো. নান্নু মিয়া (৪০), মৃত আলী মিয়ার ছেলে আ. মতিন মিয়া (৪০), মৃত আ. খালেক সাইদুল ইসলাম (২৪), সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে বাবুল মিয়া (২৫), মৃত আ. লতিফ এর ছেলে সফিকুল ইসলাম (৩৫), মৃত নায়েব আলীর ছেলে মো. মোসলেম মিয়া (৪৫), নান্নু মিয়ার ছেলে মো. সফিকুল ইসলাম (২৮), মৃত আ. বাতেনের ছেলে মো. হেলাল মিয়া (২৫), সরু মিয়ার ছেলে মো. আউয়াল মিয়া (৩০) ও মৃত আ. মতিন মিয়ার ছেলে বিল্লাল হোসেন (৩০)।
এ মামলার বাদী নুরুল হকের ছেলে শরিফুল ইসলাম জানান, জমিসংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে ২০১১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মামলার এক নম্বর আসামি মাসুমসহ অন্যান্য আসামিরা নুরুল হককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় ২২ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন। বিজ্ঞ আদালত উভয়পক্ষের সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে এই রায় ঘোষণা করেন।
আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাড. আবদুল মমিন ফেরদৌস। তিনি বলেন, আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। আসামিরা উচ্চ আদালতে যাবে।
মন্তব্য করুন