বগুড়ায় ঈদের রাতে জোড়া খুনের মামলার প্রধান আসামি বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহমেদ মিঠুর লাইসেন্স করা একটি পিস্তল ও ৩৬ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়েছে।
গত সোমবার রাতে সদর থানা পুলিশের একটি দল তার উপশহরের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে এই আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিগুলো জব্দ করে।
জোড়া হত্যা মামলার বাদী হেনা বেগমের অভিযোগ, শহরের চকরপাড়ায় তার ছেলে শরিফ ও তার বন্ধু রুমনকে হত্যার সময় পিস্তল দিয়ে গুলি ছোঁড়া হয়েছিল। এতে শরিফের আরেক বন্ধু হোসাইন ওরফে হোসেন পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। তবে পুলিশ বলছে, এই পিস্তল দিয়েই গুলি করা হয়েছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহিনুজ্জামান বলেন, জব্দ করা লাইসেন্স করা পিস্তলটি চীনের তৈরি। ২০২৪ সাল পর্যন্ত অস্ত্রটি নবায়ন করা। জোড়া হত্যাকাণ্ডের সময় এই অস্ত্রটি ব্যবহার করা হয়েছিল কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, গুলির হিসাবও ঠিক আছে কি না বা গুলি ব্যবহৃত হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে এই জোড়া হত্যা মামলায় সৈয়দ কবির আহমেদ মিঠুসহ ৪ আসামিকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি গতকাল পর্যন্ত তারা স্বীকার করেনি। গতকাল রিমান্ডের ২য় দিন পার হয়েছে। আরও ২ দিন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। গত ১৭ জুন ঈদের দিন মধ্যরাতে শহরের নিশিন্দারা চকরপাড়ায় এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা আরও জানান, জোড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যে চারজনকে রিমান্ডে আনা হয়েছে তারা হলো মামলার প্রধান আসামি বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও বগুড়া উপশহর এলাকার মৃত আকিল আহমেদের ছেলে সৈয়দ কবির আহমেদ মিঠু। নিশিন্দারা খাঁ পাড়ার আব্দুল গফুরের ছেলে শেখ সৌরভ (২৩), সুলতানগঞ্জ পাড়ার ইসমাইল হোসেনের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা আজবিন রিফাত (১৯) ও নিশিন্দারা খাঁ পাড়ার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে নাঈম হোসেন (২৬)। চারদিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে পাঠানো হবে।
গত ২৪ জুন তাদের ৪ দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া হয়। এর আগে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মো. শাহিনুজ্জামান তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। পরে আদালত শুনানি শেষে ৪ দিনের রিমান্ড মুঞ্জুর করেন।
মন্তব্য করুন