নানা সমালোচনা ও তোপের মুখে পড়ে অবশেষে জীবিত রাসেল ভাইপার সাপ ধরে আনা সেই রেজাউলকে পুরস্কারের অর্থ তুলে দিল ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ। এতে জেলা আওয়ামী লীগ তাদের দেওয়া কথা রাখলেন বলে জানান নেতারা।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে তার হাতে পুরস্কারের অর্থের চেক তুলে দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ ইশতিয়াক আরিফ।
পুরস্কারের অর্থের চেক পাওয়া রেজাউল খান জানান, তিনি জেলা আওয়ামী লীগের ঘোষিত পুরস্কারে ৫০ হাজার টাকা পেয়ে খুব খুশি।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ ইশতিয়াক আরিফ কালবেলাকে বলেন, সাপ সম্পর্কিত পুরস্কারের ঘোষণাটি আমরা প্রত্যাহার করেছি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে। তবে আমাদের ঘোষণা অনুযায়ী এই ব্যক্তিকে পুরস্কার বাবদ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগ তাদের কথা রেখেছে।
প্রসঙ্গত, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন উপেক্ষা করে প্রথমে রাসেল ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) মারতে পারলে গত ২০ জুন ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ। এ ঘোষণায় রাসেল ভাইপার সাপ মেরে এক কৃষক হাজির হলে মৃত সাপ বলে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
এ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে একদিন পর ২১ জুন জেলা আওয়ামী লীগ পূর্বের ঘোষণা থেকে কিছুটা সরে আসে। তখন, এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, নিজে সুরক্ষিত থেকে জীবিত রাসেল ভাইপার ধরে বন বিভাগে জমা দেওয়া হলে তাকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।
এ ঘোষণার পর রাসেল ভাইপার জীবিত ধরার জন্য তোড়জোর শুরু হয়ে যায় ফরিদপুর সদরসহ জেলার বিভিন্ন গ্রামে। পরে জীবিত রাসেল ভাইপার নিয়ে রেজাউল জেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে দেখা করে বন বিভাগে সাপটি জমা দেয়। তারপরও তাকে পুরস্কৃত না করে ফিরিয়ে দেন নেতারা।
বরং ২৩ জুন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক তার ফেসবুক পোস্টে সাফ জানিয়ে দেন- ‘জীবিত বা মৃত কোনো প্রকার রাসেল ভাইপারের জন্য কোনো পুরস্কার নেই’ এবং তার কিছু সময় পরে জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আশরাফ আলী পীয়ার স্বাক্ষরিত জেলা আওয়ামী লীগের একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পুরস্কারের ঘোষণা প্রত্যাহার করা হয়।
এর পরে নানা সমালোচনা ও তোপের মুখে পড়ে জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এই ব্যক্তিকে ডেকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দিলেন।
মন্তব্য করুন