মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলায় প্রায় ২ হাজারের মতো লেয়ার, ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির খামার রয়েছে। এর মধ্যে ৪৩টি খামার রয়েছে লেয়ার মুরগির। আর এসব মুরগির খামার থেকে প্রতি মাসে গড়ে ৮ লাখের উপরে ডিম উৎপাদন হয়।
তবে গত ১ সপ্তাহের ব্যবধানে খামার থেকে প্রতি পিস ডিম ৩ থেকে ৪ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে প্রায় সাড়ে ১১ টাকার ওপরে। এতে ১০০ পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১৬০ টাকা দরে। পাইকারি বাজারে ফার্মে থেকে প্রতি ডজন ডিম এখন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা দরে, যা প্রতি পিস ডিমের দাম পরে ১৩ টাকার ওপরে।
এদিকে, খুচরা বাজার ও পাড়া-মহল্লার দোকানগুলোতে ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা দরে। এতে প্রতি পিস ডিমের দাম পরছে ১৪ টাকার উপরে, যা পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বাজারে ১ টাকা পিস বৃদ্ধি পেয়ে ডজন প্রতি ১২ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে।
আব্দুল মতিন ডিমের আড়তদের স্বত্বাধিকারী মো. আব্দুল মতিন জানান, ফার্ম থেকে প্রতি পিস ডিম ১১ টাকা ৬০ পয়সা দরে ক্রয় করতে হচ্ছে, যা আমদের প্রতি পিস বিক্রি করতে হচ্ছে ১৩ টাকা দরে। এতে এক ডজন ডিমের দাম পরছে ১৬০ টাকা। আর সাদা ডিম পড়ছে ১৫৫ টাকা।
ভাই ভাই পোলট্রি ফার্মের স্বত্বাধিকারী হুমায়ূন গাজী জানান, মুরগির খাবার তৈরির মূল উপাদান তৈল আর ভুট্টা। বর্তমানে এর দাম অনেক বেশি। পাশাপাশি পরিবহন খরচও বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই মুরগির উৎপাদন খরচ বেশি হওয়াতে মুরগিসহ ডিমের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। তা ছাড়া ফার্ম থেকে কয়েক হাত হয়ে ভোক্তাদের কাছে যাওয়ার পর তা প্রতি পিস ৩ থেকে ৪ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে এখানে পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজির কোনো বিষয় নেই।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্মকর্তা ডা. নজরুল ইসলাম, গত ১ সপ্তাহের ব্যবধানে ফার্ম থেকে প্রতি পিস ডিম ৩ থেকে ৪ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সপ্তাহে প্রতি পিস ডিম ৮ থেকে ৯ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে, যা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে প্রায় ১১ টাকা ওপরে। জেলায় ৪৩টি লেয়ার, ১৫০০ ব্রয়লার ও ৩৬০ টি সোনালি মুরগির খামার রয়েছে। ৬টি উপজেলার মধ্যে ডিম দেওয়া লেয়ার মুরগির খামার সবচাইতে বেশি মুন্সীগঞ্জ সদর, শ্রীনগর ও গজারিয়া উপজেলায়। প্রতি মাসে এসব খামার থেকে ৮ লাখ ২২ হাজার ডিম উৎপাদন হয়।
তিনি আরও বলেন, জেলায় চাহিদার তুলনায় দুধ, মাংস ও ডিমের উৎপাদন বেশি রয়েছে।
মন্তব্য করুন