নরসিংদীর পলাশে নিখোঁজের চার দিন পর মাইশা আক্তার নামে সাড়ে তিন বছরের এক শিশুর মরদেহ সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকালে উপজেলার ডাংগা ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের নিজ বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাসিন্দা জালাল শেখ, তার স্ত্রী মাহফুজা ও ছেলে বিল্লাল। তারা নিহত শিশুর এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
নিহত মাইশা আক্তার পলাশ উপজেলার ডাংগা ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের মেহেদী হাসানের মেয়ে।
ডাংগা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বেলায়েত হোসেন জানান, জয়নগর গ্রামের শীলবাড়ির মোড়ের মেহেদী হাসানের মেয়ে মাইশা শুক্রবার (২১ জুন) বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিল। পরে তাকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে রাতেই পলাশ থানায় জিডি করে মাইশার বাবা।
এ ঘটনায় র্যাব জালাল শেখকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পর মঙ্গলবার সকালে মাইশাদের বাড়ির সেফটিক ট্যাংক থেকে লাশ উদ্ধার করে। কেন মাইশাকে হত্যা করেছে জানা যায়নি। জালাল শেখ, তার স্ত্রী মাহফুজা ও ছেলে বিল্লালকে আটক করেছে র্যাব।
পলাশ থানার ওসি (তদন্ত) মো. জসিম উদ্দিন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শিশু মাইশা নিখোঁজের ঘটনায় ডাংগা থেকে জামাল শেখ নামে বাড়ির ভাড়াটিয়াকে আটক করে র্যাব। আটকের পর তার দেওয়া তথ্যে বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মাইশার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আমরা মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় ভাড়াটিয়া জালাল শেখ, স্ত্রী মাহফুজা ও ছেলে বিল্লালকে র্যাব আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। শিশুকে কী কারণে হত্যা করা হয়েছে তা আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তের পর বিস্তারিত জানাতে পারব।
মন্তব্য করুন