চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের পুঁইছড়ি বিটের আওতাধীন টইটং-পেকুয়ার সীমান্তবর্তী এলাকার সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ৩০ শতক জায়গা বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৮ জনের যৌথ সাক্ষরে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে স্টাম্প মূল্যে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে টইটংয়ের জুমপাড়া এলাকার একটি পাহাড় খেকো সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। যার নেতৃত্বে আছেন সাবেক মেম্বার আবুল কাশেম ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিল।
বনের জায়গা বিক্রির স্টাম্প সূত্রে দেখা যায়, ২০২৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর নন জুডিশিয়াল স্টাম্পে সাক্ষর করে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা বুঝে নিয়েছেন ৮ জন ব্যক্তি। সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জায়গা যারা বিক্রি করেছেন তারা হলেন- টইটং ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কাশেম, আব্দুল জলিল, আহমদ হোসাইন, শামশুল আলম, নুরুল কাদের, জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুল কুদ্দুছ। তাদের সবার বাড়ি টইটং ইউনিয়নের জুমপাড়া এলাকায়। এছাড়াও টইটং মালগাড়া এলাকার এজার মিয়াও জায়গা বিক্রি করেছেন।
জায়গাটি ক্রয় করেছেন পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের কাঞ্চনপাড়া এলাকার মৃত গোলাম শরীফের ছেলে আবু তালেব।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জায়গা বিক্রি করা এবং স্টাম্প লেখা থেকে শুরু করে সবকিছুর নেপথ্যে কাজ করেন সাবেক মেম্বার আবুল কাশেম ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিল। স্টাম্প লেখার কাজও করেন তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আব্দুল জলিল বলেন, সংরক্ষিত বনাঞ্চলের অহরহ জায়গা বিক্রি হচ্ছে। এ এলাকায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জায়গা বিক্রি করা হয়েছে এমন অন্তত ৫ হাজার স্টাম্প আছে। প্রায় সব স্টাম্প আমি নিজ হাতে লিখেছি।
এ ব্যাপারে জানতে সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কাশেমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তার কোনো সাড়া না পাওয়ায় কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আর পুঁইছড়ি বিট কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম বলেন, বনভূমির জায়গা বিক্রি করার সুযোগ নেই। টইটংয়ের আব্দুল জলিলকে বেশ কয়েকবার সতর্ক করা হয়েছে। তারপরও সে বনভূমির জায়গা বিক্রির স্টাম্প লেখার কাজ করে যাচ্ছে। যারা এ কাজে জড়িত সবার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন