কুমিল্লা ব্যুরো
প্রকাশ : ২৪ জুন ২০২৪, ০৯:১১ পিএম
আপডেট : ২৪ জুন ২০২৪, ০৯:২১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কারামুক্ত হলেন সেই পাপিয়া

শামীমা নূর পাপিয়া। ছবি : সংগৃহীত
শামীমা নূর পাপিয়া। ছবি : সংগৃহীত

কুমিল্লায় কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে কারামুক্ত হলেন নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সেই নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া। সোমবার (২৪ জুন) সন্ধ্যায় কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে বের হন তিনি।

শামীমা নূর পাপিয়ার জামিনে বের হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি জানান, বিকেলে তার জামিনের কাগজপত্র এলে তা যাচাই–বাছাই করার করা হয়। পরে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে পাপিয়া জামিনে কারামুক্ত হন।

তিনি আরও জানান, পাপিয়ার বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা রয়েছে। এর আগে অস্ত্র আইনের একটি মামলায় নিম্নআদালত তাকে ২০ বছরের সাজা দেন। পরে তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন। বাকি পাঁচটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। গুলশান থানায় দায়েরকৃত মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় আজ তিনি জামিন পান।

এর আগে কাশিমপুর কারাগারে ছিলেন পাপিয়া। সেখানে এক নারী বন্দির ওপর নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের পরপরই ২০২৩ সালে ৩ জুলাই তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের রেকর্ড বইয়ে পাপিয়ার বিভিন্ন অপকর্মের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়, পাপিয়া হাজতি রুনা লায়লা ছাড়াও কয়েকজন বন্দিকে গালাগাল ও ভয়ভীতি দেখাতে আঘাত করেছেন। এ ছাড়া তিনি কারাগারের রজনীগন্ধা ভবনে অন্য বন্দি দিতে চাইলে আপত্তি জানিয়েছিলেন। তিনি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ইচ্ছেমতো অন্য বন্দিদের সেল পরিবর্তন করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার কক্ষ তল্লাশি করে স্মার্টফোন ও চার্জার পাওয়া যায়।

ঢাকার পাঁচ তারকা হোটেলে বিলাসবহুল কক্ষ ভাড়া নিয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতেন পাপিয়া। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের বিষয়ে আঁচ পেয়ে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বিমানবন্দর থেকে পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

পরে ২৩ ফেব্রুয়ারি পাপিয়ার ইন্দিরা রোডের বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেক, বেশ কিছু বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়।

ওই ঘটনায় পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানার মাদক ও অস্ত্র মামলা, গুলশান থানায় মানি লন্ডারিংয়ের মামলা, বিমানবন্দর থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনে (জাল টাকার) মামলা এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক।

২০২১ সালের ২৭ ডিসেম্বর মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় পাপিয়াসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডি পুলিশের আরেক পরিদর্শক ইব্রাহীম হোসেন।

এসব ঘটনায় পাপিয়াকে নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। ওই বছরই অস্ত্র মামলায় পাপিয়া ও তার স্বামীর ২০ বছরের কারাদণ্ড হয়। এখনো তাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলার বিচার চলছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইসরায়েলকে প্রতিশোধের রাস্তা দেখিয়ে দিলেন ট্রাম্প

মসজিদ টার্গেট করে চালানো হচ্ছে বিমান হামলা

আর এক জয় দূরে মেসির মায়ামি!

নির্যাতনের তথ্য চেয়ে আ.লীগের বিশেষ বার্তা

পূজায় বুড়িমারীতে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে ৬ দিন

প্রতি সপ্তাহে সহায়তা দেবে জুলাই ফাউন্ডেশন : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

আন্দোলনে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি, সেই যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছে যমুনা গ্রুপ

জনবল নেবে স্যামসাং বয়সসীমা  ২১ থেকে ২৮ বছর 

বায়ুদূষণে শীর্ষে হ্যানয়, ঢাকার খবর কী

১০

সুস্থ থাকতে ভাত নাকি রুটি, কী বলছেন চিকিৎসক

১১

লিটনের শরীরে ৫ শতাধিক বুলেট

১২

সপ্তম রাউন্ডে জমে উঠেছে প্রিমিয়ার লিগের লড়াই

১৩

পাচারের টাকায় আমিরাতে মিনি সিটি নিয়ে আসিফের স্ট্যাটাস

১৪

শেরপুরে ভয়াবহ বন্যায় ৭ জনের মৃত্যু

১৫

তিন বিভাগে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস গবেষকের

১৬

সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার আক্ষেপ জ্যোতির

১৭

১৩ জেলায় দুপুরের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা

১৮

ভারতীয় দলে আচমকা পরিবর্তন

১৯

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ২৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

২০
X