সাভার বিসিক চামড়া শিল্পনগরীতে চলছে কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণের কার্যক্রম। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কেনা লবণযুক্ত চামড়া ঢুকছে ট্যানারির বিভিন্ন কারখানায়। এ নিয়ে কর্মব্যস্ত সাভার চামড়া শিল্পনগরী।
সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে সাভার চামড়া শিল্পনগরীতে ঘুরে দেখা যায়, ঢাকার বাইরের বিভিন্ন এলাকা থেকে লবণযুক্ত পশুর চামড়া বোঝাই ট্রাক ঢুকছে ট্যানারিতে।
ট্যানারিগুলো ঘুরে দেখা যায়, চামড়া শিল্পনগরীতে লবণযুক্ত চামড়াগুলো থেকে এখন বাড়তি অংশ বাদ দিয়ে সেগুলোকে পরবর্তী ধাপের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। চামড়াগুলোকে সোকিং করার পর সেগুলোকে ওয়েট ব্লু প্রসেস করা হবে যেখানে রাসায়নিক ব্যবহার করে চামড়া থেকে পশম ছাড়িয়ে তাতে প্রয়োজনীয় রং করা হয়। পরবর্তীতে ক্রাস্ট ও ফিনিস লেদার হিসেবে তা বিক্রি করা হবে।
আগামী কয়েক মাস এভাবেই লবণযুক্ত চামড়া সংগ্রহ করবেন ট্যানারি মালিকরা। এছাড়া অনুকূল পরিবেশ থাকায় এবার ১ কোটি চামড়া সংগ্রহের লক্ষমাত্রা পূরণ হবে বলে আশাবাদী মালিকরা।
বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকার চামড়া আমরা প্রথম গ্রহণ করেছি। ঢাকার বাইরের চামড়া আজ থেকে সংগ্রহ শুরু হয়েছে। এটা দুই থেকে আড়াই মাস চলবে। দেশজুড়ে সার্বিক অবস্থা ভালো রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে শুরু করে সবাই সচেতন।
তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে লবণের সরবরাহ ছিল ভালো। সবখানে লবণ দিয়ে চামড়া ভালোভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে। চামড়ার মানও ভালো। যথাসময়ে সঠিকভাবে যারা চামড়া সংরক্ষণ করেছে তারা সরকারের বেঁধে দেওয়া ন্যায্য দাম পাবেন। আমরা ঢাকাতে যে লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিলাম, প্রাথমিকভাবে তা অর্জিত হয়েছে। ঢাকার বাইরেও খোঁজ নিয়েছি, আশা করছি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে। আমরা আশা করি, এভাবে চামড়া যারা সংগ্রহ করেছে, তাদের কাছ থেকে সরাসরি চামড়া সংগ্রহ শুরু করেছি। দ্রুত সব চামড়া সংরক্ষণে সক্ষম হবো।
মন্তব্য করুন