ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার ঘটনায় আটক ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন এমপি কন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।
রোববার (২৩ জুন) বিকেলে কালীগঞ্জ শহরের মেইন বাসস্ট্যান্ডে কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের আয়োজনে প্রতিবাদ সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় বাবার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন এমপি কন্যা ডরিন। এমপি কন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বলেন, আমি কাউকে ইঙ্গিত করে কখনো কথা বলিনি। কাউকে ফাঁসানোর জন্য কোথাও কিছু বলিনি। তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করে যার সংশ্লিষ্টতা পাচ্ছে তাকেই আটক করছে। ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু ৮ দিনের রিমান্ড হওয়া সত্ত্বেও তিন দিনের মাথায় কারাগারে কেন চলে যাচ্ছে এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি।
ডরিন বলেন, যদি কোনো ব্যক্তি অপরাধ করে তার দায় কিন্তু দল নেবে না। দলের মধ্যে থেকে যদি কেউ অপরাধ করে দল তাকে বহিষ্কার করে দিতে বাধ্য। আমার বাবাকে যে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে তার বর্ণনা সন্তান হিসেবে দিতে কষ্ট হয়। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের দ্রুত ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হোক। ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগ করার মতো অনেক লোক আছে।
এমপি কন্যা আরও বলেন, আমার বাবা হত্যার শিকার হয়েছে। কালকে তো আরও একজন মারা যেতে পারে। একে একে কি সবাই মারা যাবে। আমি চাই সুষ্ঠু তদন্ত হয়ে এর বিচার হবে এবং যারা জড়িত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আর তাদের জায়গা দেবে না।
স্বর্ণ চোরাচালান ও অবৈধ ব্যবসা প্রসঙ্গে ডরিন বলেন, তারা নিজেরা এই ধরনের কর্মকাণ্ডগুলো ঘটিয়ে বিষয়টিকে অন্যভাবে ডায়ভার্ট করার জন্য তারা এ কথাগুলো অপপ্রচার দিয়েছে। ইন্ডিয়ায় নিয়ে গিয়ে মারার একটাই কারণ এ ধরনের অপপ্রচার দেওয়ার জন্য। আমি এতবড় হয়েছি আমি নিজেই জানতাম না যে স্বর্ণ চোরাচালান হয় কী করে। এই ধরনের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমার বাবার ইমেজ ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে। কখনোই আমি মেনে নেব না।
উপস্থিত জনতাকে বাবার লাশের ছবি দেখিয়ে ডরিন বলেন, আপনারা সবাই আমার বাবার নৃশংস হত্যার ছবিটা সবাই দেখেছেন। এই ছবি দেখে যদি একটি মানুষ চুপ করে থাকে সে কীভাবে রক্ত-মাংসের গড়া হতে পারে। আমি যখন আমার নিখোঁজ বাবাকে খুঁজছিলাম তখন তারা কেন আমাকে বলল না। যারা এই ছবি দেখেও চুপ করে থাকে তাহলে বুঝতে হবে তাদের সংশ্লিষ্টতা কতটুকু।
এর আগে বিকেল ৪টায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে এমপি আনারের নেতাকর্মীরা আসতে থাকে। উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর সিদ্দিকী ঠান্ডুর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শিবলী নোমানী, মেয়র আশরাফুল আলম, ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুজ্জামান রাসেলসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা।
মন্তব্য করুন