কোরবানি ঈদে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চালু হওয়া ‘কক্সবাজার স্পেশাল’ ট্রেনকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে ফের অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বন্ধ করা হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চট্টগ্রাম নাগরিক সমাজ। অন্যদিকে এ ঘোষণার পরপরই ট্রেনটি আরও এক মাসের জন্য চালু রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন রেলওয়ের কর্মকর্তারা।
রোববার (২৩ জুন) সন্ধ্যায় রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) সাইফুল ইসলাম কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনটি আরও এক মাস চালু রাখার বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে আগামী ২৪ জুন পর্যন্ত ট্রেনটি চালানোর কথা ছিল। ট্রেনটি আরও এক মাস চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হবে সেইভাবেই ট্রেন পরিচালনা করা হবে।
এর আগে সকালে ট্রেনটি বন্ধ হওয়ার খবরে সংবাদ সম্মেলনের ডাক দেয় চট্টগ্রাম সচেতন নাগরিক সমাজ। এ সংবাদ সম্মেলন থেকে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এ সময় কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনটি বন্ধ হলে মঙ্গলবার (২৫ জুন) থেকে চট্টগ্রামে রেলপথ অচলের হুঁশিয়ারি দেন নাগরিক সমাজের নেতারা।
এ সময় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাউদ্দিন রেজা, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি চৌধুরী ফরিদ, সাধারণ সম্পাদক দেব দুলাল ভৌমিক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার এ কে এম সারয়ার কামাল, স্থপতি আশিক ইমরান ও নাগরিক ফোরামের মহাসচিব মো. ইদ্রিস, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরীসহ আরও অনেকেই।
এ সময় বক্তারা বলেন, পর্যটন এক্সপ্রেস ও কক্সবাজার এক্সপ্রেস নামে দুটি ট্রেন ঢাকা থেকে কক্সবাজার গন্তব্যে নিরাপদে ও নির্ভয়ে যাওয়া আসা করছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুবিধা হয়েছে। তবে দুঃখের বিষয় একটি ট্রেন বহু অনুরোধে বিশেষ ট্রেন হিসেবে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার লাইনে চলাচল করছিল। এখন সেটা বন্ধ করার পাঁয়তারা চলছে। এর আগেও একবার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
তারা আরও বলেন, প্রশাসনের দাবি, কক্সবাজারের ট্রেনে মাদক আনা-নেওয়া হয়। তাহলে সব ট্রেন বন্ধ করে দেন। যদি কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনটি বন্ধ করা হয় তাহলে চট্টগ্রাম থেকে কোনো ট্রেন চলতে দেওয়া হবে না।
মন্তব্য করুন