তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ জুন ২০২৪, ০৬:৪৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চলনবিলে ধরা পড়ছে ছোট-বড় বোয়াল

বোয়াল মাছ হাতে এক মাছ শিকারি। ছবি : কালবেলা
বোয়াল মাছ হাতে এক মাছ শিকারি। ছবি : কালবেলা

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও আষাঢ়ের শুরুতেই চলনবিলের খালগুলোতে নতুন পানি ঢুকতে শুরু করেছে। আর ওই পানিতে পাওয়া যাচ্ছে ছোট-বড় বোয়াল মাছ।

জাল, জুইতা ও টেঁটা দিয়ে সেসব মাছ ধরছেন শৌখিন ও পেশাজীবী মাছ শিকারিরা। বোয়াল মাছ ধরতে চলনবিলের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছেন তারা।

জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে চলনবিলের তাড়াশ উপজেলার কুন্দইল, ধামাইচ, ৮ নম্বর ব্রিজ, ৯ নম্বর ব্রিজ ও ১০ নম্বর ব্রিজ এলাকায় ধরা পড়ছে ছোট-বড় বোয়াল মাছ। এ মাছগুলোর মধ্যে অধিকাংশ মাছ ৫ থেকে ৭ কেজি ওজনের। বোয়াল মাছ ধরা পড়ার খবরে বিলপাড়ে উৎসুক জনতার ভিড় জমে যায়। বোয়াল মাছ কিনতে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছেন মানুষ। তবে পেশাজীবী শিকারিরা মাছ বিক্রি করলেও শৌখিন শিকারিরা বিক্রি করছেন না।

উপজেলার মাগুড়াবিনোদ গ্রামের বাসিন্দা মতিউর রহমান বলেন, শনিবার রাতে বিলের মধ্যে কুচ দিয়ে আঘাত করার পর পাঁচ কেজির বোয়াল মাছ পেয়েছি। আজ রোববার (২৩ জুন) সকালে তাড়াশ বাজারে ১২০০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি করেছি।

উপজেলার ধামাইচ গ্রামের শৌখিন মাছ শিকারি জাফর উদ্দিন বলেন, সকালে তাড়াশ উপজেলার ৯ নম্বর ব্রিজ এলাকার খাল থেকে ৬ কেজি ওজনের তিনটি ডিমওয়ালা বোয়াল মাছ পেয়েছি। দুটি বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ১ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। আর একটি বাড়িতে নিয়ে যাব।

কুন্দইল গ্রামের ফিরোজ আহমেদ বলেন, বিলে নতুন পানি এসেছে তাই আমি ছিপ জাল লাগিয়েছি। সকাল থেকেই মাছ ধরছিলাম। হঠাৎ করেই জাল তুলতে বেশি ওজন লাগে। তখনই ভাবছিলাম হয়তো একটা বড় মাছ উঠেছে। সম্পূর্ণ জাল তুলে দেখি ৪ কেজি ওজনের একটি বোয়াল। মাছটি ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি।

বোয়াল মাছ কিনতে আসা ফেরদৌস আলম বাচ্চু বলেন, তাড়াশ বাজারে অনেকদিন পর চলনবিলের বোয়াল মাছ পাওয়া গেছে। আগে থেকেই ইচ্ছে ছিল বড় বোয়াল কেনার। আজ সুযোগ মতো পেয়েছি। ৫ কেজি ওজনের বোয়াল মাছটি ৬ হাজার টাকা দিয়ে মাছটি কিনে নিয়েছি।

দোবিলা ইসলামপুর ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক গোলাম কিবরিয়া উজ্জ্বল বলেন, চলনবিলে বন্যার নতুন পানি আসায় নদ-নদী ও খাল বিলে পানিতে ভরে যাচ্ছে। এ পানিতে ডিম ছাড়ার জন্য মা বোয়াল মাছ কম পানিতে এসে লাফালাফি করছে। এ সুযোগে পেশাদার ও শৌখিন মাছ শিকারিরা দলবেঁধে প্রতিদিন এসব জায়গা থেকে ছোট বড় বিভিন্ন ওজনের বিভিন্ন মাছ ধরছেন।

তাড়াশ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মশগুল আজাদ কালবেলাকে বলেন, মা মাছ ধরলে মাছের বংশ বৃদ্ধি হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা থাকে। মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ডিমওয়ালা মা মাছ ধরায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

তিনি বলেন, আর চলনবিল একটি বৃহৎ এলাকা। তবে মা মাছ নিধনের বিরুদ্ধে শিগগিরই চলনবিল এলাকার তাড়াশ উপজেলা অংশে মৎস্য শিকারিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৯ বছর পর চবির পঞ্চম সমাবর্তন, ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবের আমেজ

দুদকের ফাঁদ মামলা  / ঘুষের টাকাসহ হাতেনাতে আটক দক্ষিণ সিটির ওয়ার্ড সচিব 

‘রিসাইক্লিং হিরো’ খেতাব পেলেন দুবাইয়ের কিশোর ঋষভ মিত্তল

আরও একটি যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে বিশ্ব?

শিমলা চুক্তি বাতিল করল পাকিস্তান

রূপনগরে ৮টি গেট গুঁড়িয়ে দিয়েছে ডিএনসিসি

সাবেক এমপি নাবিল ও তার পরিবারের ৩৬২ একর জমি জব্দ

সাবেক রাষ্ট্রপতির জামাতাসহ বাধ্যতামূলক অবসরে ২ কর কমিশনার

জন্মদিনেই না ফেরার দেশে শিশু সিনহা

পিছিয়ে গেল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ

১০

শেখ পরিবারের জুয়েল-রুবেল-সোহেল-তন্ময়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

১১

ইলিয়াস কাঞ্চনকে আইনি নোটিশ

১২

‘ইলিয়াস কাঞ্চনের পিঠের চামড়া থাকবে না’

১৩

৫ দিনের রিমান্ডে ছোট সাজ্জাদ

১৪

পানি বন্ধ করলে যুদ্ধের ইঙ্গিত পাকিস্তানের

১৫

‘ডিবির হারুনের’ ঘনিষ্ঠ জাহাঙ্গীরের সম্পদ জব্দ

১৬

চাঁদপুরের চলছে শত বছরের পুরোনো খাল খনন

১৭

আবেগের উচ্চতর পর্যায়ে ভারতীয়রা, পাকিস্তানে হামলার আহ্বান

১৮

ঢাকায় নেতৃত্ব দেওয়ার লোক খুঁজছে আওয়ামী লীগ

১৯

‘বাড়তে পারে চালের দাম’

২০
X