মৌলভীবাজারের জুড়ীতে আরমান মিয়া নামে এক যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন একজন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (২২ জুন) গভীর রাতে জায়ফরনগর ইউনিয়নের গরেরগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আরমান উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের গরেরগাঁও গ্রামের প্রবাসী সুমন আহমদের ছেলে। আহত রফিক মিয়া একই গ্রামের তৈমুছ আলীর ছেলে।
আটক চারজন হলেন- গরেরগাঁও গ্রামের ইয়াজ মিয়া, তার দুই ছেলে তানভীর আহমেদ ও তুহিন আহমেদ এবং প্রতিবেশি তাজ উদ্দিন।
জানা গেছে, পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে শনিবার গভীর রাতে গরেরগাঁও গ্রামের প্রবাসী সুমন আহমদের ছেলে আরমানকে পাশের বাড়ির তানভীর আহমদ ওরফে নাইফার মুন্না ঘুম থেকে ডেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তানভীর ও তার সঙ্গে থাকা জাহাঙ্গীর আলম ও ইয়াজ উদ্দিনসহ কয়েকজন মিলে ছুরিকাঘাত করে।
আরমানের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আরমান মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত রফিক মিয়াকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরমানের মা বলেন, আমার ছেলেকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।
জুড়ী থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির বলেন, আমরা গভীর রাতে খুনের বিষয়টি জেনে ঘটনাস্থলে যাই। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসি। আরমানের গলার নিচে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
জুড়ী থানার ওসি এসএম মাইন উদ্দিন কালবেলা বলেন, হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক চারজনকে আদালতে সোপর্দ করেছি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন