ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে মো. সাইম নামে এক শিশুর জিব ও ঠোঁট কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে কাউসার মিয়া নামে এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে।
রোববার (২৩ জুন) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে, শিশু সাইমের জিহ্বায় ৭টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। ঠোঁটে আঘাতপ্রাপ্ত।
আহত সাইম নাটঘর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের মালেক মিয়ার ছেলে। এর আগে শুক্রবার (২১ জুন) উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বাড়ির সীমানা নিয়ে শিশু সাইমের বাবা মালেক মিয়ার সঙ্গে পাশের বাড়ির কাউসার মিয়ার এক বছর ধরে বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার সকালে কাউসার মিয়া বিরোধপূর্ণ জায়গার সীমানা খুঁটি তুলে আরেক জায়গায় বসিয়ে দেয়। ঘটনাটি দেখে ফেলে শিশু সাইম। সে তার বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি বলে দেয়।
এর কিছুক্ষণ পর বিষয়টি জানতে পেরে সাইমকে খুঁজতে থাকে কাউসার মিয়া। একপর্যায়ে সাইম বাড়ি থেকে বের হলে তার ওপর দা ও লাঠি নিয়ে হামলা করে কাউসার মিয়া ও তার লোকজন। সাইমকে পিটিয়ে একপর্যায়ে তার জিহ্বায় ছুরি ঢুকিয়ে দেয়। তার ঠোঁটের কিছু অংশ কেটে ফেলে। এতে সে গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত শিশুর মা পারভীন বেগম বলেন, আমার ছেলের জিব ও ঠোঁট নৃশংসভাবে কেটে দেওয়া হয়েছে। এখন সে হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। চারদিন ধরে তাকে কিছু খাওয়াতে পারছি না। এ ধরনের বর্বরতা মেনে নেওয়া যায় না। আমি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে কাউসার মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক রতন কুমার ঢালী বলেন, শিশুটির জিব ও ঠোঁটে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার জিবে ৭টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসরা তাকে যথাযথ চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে। বর্তমানে তার অবস্থা উন্নতির দিকে।
নবীনগর থানার ওসি মাহবুব আলম কালবেলাকে বলেন, শিশুটি জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। লিখিত অভিযোগ হাতে পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন