বরিশালের বাকেরগঞ্জে দেখা মিলেছে ভয়ংকর রাসেলস ভাইপারের। শনিবার (২২ জুন) রাত ১০টার দিকে উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর গ্রামে শরীফের বাড়িতে রাসেল ভাইপার সাপের দেখা মেলে।
রান্না ঘরের কাছে অবস্থান করছিলো সাপটি। মানুষের আলাপ পেয়ে আবুল শরীফের রান্নাঘরে লাকড়ির মধ্যে ডুকে যায়। এ সময় বাড়িতে থাকা লোকজন মিলে সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে।
অপরদিকে একই দিনে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের বরিশাল-বরগুনা আঞ্চলিক সড়কের পাশে নিউ মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় একটি রাসেলস ভাইপার সাপ দেখা গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান (মোতালেব)।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের বন্যার পানিতে দেশের ২৮টি জেলায় ছড়িয়ে পরে রাসেল ভাইপার, বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে দেখা মিলছে বিষাক্ত ‘রাসেল ভাইপার সাপের। গ্রামগঞ্জে মানুষের মধ্যে বিষধর এই সাপ সম্পর্কে একদমই কোনো ধারণা বা পরিচিতি নেই বললেই চলে।
ইতোপূর্বে ভোলা, ঝালকাঠি জেলার নলছিটি, বরিশালের গৌরনদী, বাবুগঞ্জ, রাসেল ভাইপারের দেখা মিলছে। গত বুধবার বরগুনার আমতলীতে এই সাপের দংশনে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এই সংবাদে বাকেরগঞ্জের সাধারণ জনগণের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
বাকেরগঞ্জ ইউএনও মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘বর্ষার সময় এই বিষাক্ত রাসেল ভাইপারের দেখা আরও মিলতে পারে। তাই সকলকে সাবধানে চলাফেরা করতে হবে।
তথ্য অনুযায়ী উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতেই ওই সাপের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছিল। ওই প্রজাতি সাপের সবচেয়ে বেশি উপস্থিতি ছিল রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। তবে বর্তমানে দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকায় ওই প্রজাতি সাপের উপস্থিতি বেড়ে গেছে।
উত্তরবঙ্গে রাসেল ভাইপার সাপ চন্দ্রবোড়া বা উলুবোড়া নামে পরিচিত। সাপটির গাঁয়ের রং এবং চিত্রাকৃতির হওয়ায় বেশিরভাগ মানুষ এটিকে নদীতে বাস করা অথবা অজগর সাপের ছদ্মনাম বলেই জানে। বাংলাদেশে যে সকল সাপ দেখা যায় সেগুলোর মধ্যে এটিই সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ।
এদিকে সচেতন মহল মনে করেন আফ্রিকা উপমহাদেশ থেকে আসা ওই বিষধর সাপের উপদ্রব এখনই কমানো না গেলে পরে আরও বিরাট আকার ধারণ করবে।
মন্তব্য করুন