নেত্রকোনার কলমাকান্দায় বাজার ইজারা (খাস সংগ্রহের ডাক) দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (২২ জুন) দুপুরে উপজেলার পূর্ব বাজার কলেজ মোড়ে বাজারের ডাক নিয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
কলমাকান্দা থানার ওসি লুৎফুল হক কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে পূর্ব বাজার কলেজ মোড়ে বাজার ডাক নিয়ে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষ চয়ন গ্রুপ এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস বাবুলের ছোট ভাই আব্দুল ওয়াদুদ রতন গ্রুপের মধ্যে প্রথমে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে দু’পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হয়।
তাদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ফজলে হাসান রাব্বি, লিটন মিয়া, শিপন মিয়া, মজিবর রহমানকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে মোস্তাফিজুর রহমান চয়ন, অমিত শাহ, রাসেল খানসহ অনেকেই গুরুতর অবস্থায় কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।
সংঘর্ষে আহত স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান চয়ন বলেন, আজ সকালে উন্মুক্ত ডাক দেওয়ার কথা ছিল। আমরা ডাকে অংশ নিতে গেলে উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস বাবুলের ভাই আব্দুল ওয়াদুদ রতন গ্রুপ আমিসহ স্থানীয় লোকজনের উপর হামলা চালায়। এ সময় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে।
ওসি লুৎফুল হক কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কলমাকান্দা উপজেলা পরিষদের বতর্মান চেয়ারম্যান আব্দুল কদ্দুস বাবুলের ভাই আব্দুল ওয়াদুদ রতন গ্রুপ ও পরাজিত চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান চয়ন গ্রুপের লোকজনের মধ্যে বাজার ডাক নিয়ে প্রথমে কথাকাটাকাটি হয়। পরে দুপক্ষের মধ্যে বাইরে এসে সংঘর্ষ হয়। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে, ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় উপজেলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো মামলা হয়নি।
কলমাকান্দা উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কদ্দুস বাবুলের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, প্রতি সপ্তাহের মতোই আজকে সদর ভূমি অফিসে খোলা ডাকের ব্যবস্থা করছিলাম। ঝামেলা দেখে সবাইকে সরিয়ে দিয়ে ডাক বন্ধ করে দিয়েছি। এখন সরকারি তহশীলদার ও খাস আদায় কমিটি, খাস আদায় করবে।
নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ বলেন, যেখানে ঢাক হচ্ছিল সেখানে ঝামেলা হয়নি, তবে যেহেতু একটি ঝামেলা বা উত্তেজনা দেখা দিয়েছে বাজার নিয়ে, সেজন্য আমরা বাজারের খাস কালেকশন বন্ধ রেখেছি, স্থানীয় তহশিলদার এখন খাস আদায় করবে। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা আবার বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
মন্তব্য করুন