সুমিষ্ট হাঁড়িভাঙা আম দেখলেই মায়া লাগে। কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে আজকের মেলা সফল হয়েছে। সারা দেশে বিভিন্ন জাতের অনেক আম থাকলেও প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের উপহার হিসেবে হাঁড়িভাঙা আম পাঠান। তিনি কৃষকের জন্য খুবই আন্তরিক। রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পদাগঞ্জ হাটে হাঁড়িভাঙা আম মেলা ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।
শুক্রবার (২১ জুন) উপজেলার পদাগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে হাঁড়িভাঙা আমের মেলা ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসানের সভাপতিত্বে এ মেলার আয়োজন করা হয়।
এদিন মেলাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করে। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই মেলা প্রাঙ্গণ ভরপুর হয়ে ওঠে। মেলায় বিভিন্ন স্টলে হাঁড়িভাঙা আমসহ বিভিন্ন আম এবং আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদর্শন করা হয়।
জিআই পণ্য হিসেবে হাঁড়িভাঙা আমকে স্বীকৃতি দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনের সংসদ সদস্য কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য জাকির হোসেন সরকার বলেন, কৃষি সমৃদ্ধ এলাকা মিঠাপুকুর। কৃষকের উৎপাদিত হাঁড়িভাঙা আম দেশে-বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। কৃষকদের সুবিধার্থে আম রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি বিশেষ হিমাগার এবং গবেষণাগারের দাবি জানান।
এ ছাড়াও বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. মাসুদ করিম, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার জাকির হোসেন, রংপুর বিভাগের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক মো. আব্দুল বাতেন, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক একেএম ছায়াদত হোসেন বকুল প্রমুখ।
এর আগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন আমন্ত্রিত শিল্পীরা।
মন্তব্য করুন