ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। কিন্তু যারা বৃদ্ধাশ্রমে বসবাস করেন তাদের জীবনে ঈদ থাকলেও নেই আনন্দ। তাই এবারের কোরবানির ঈদে বৃদ্ধাশ্রমে থাকা বাবা-মায়েদের সঙ্গে ঈদ পালন করেছেন ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী। এই ছাত্রলীগ কর্মীরা সকলেই ব্যক্তিগত জীবনে বাবা-মা হারা।
নিজেদের বাবা-মাকে হারিয়ে এই ছাত্রলীগের এই এতিম কর্মীরা এবারের ঈদের দিন ছুটে যান ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার সারা মানবিক বৃদ্ধাশ্রমে। সেখানে গিয়ে তারা বৃদ্ধ বাবা মায়েদের হাতে তুলে দেন ঈদ উপহার।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোনা জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মীর ছোটন, ছাত্রলীগ কর্মী তন্ময় উকিল, ইরফান রহমান সামি, সালমান হাসান আকাশ, রেদোয়ান আহমেদ ইমন।
নেত্রকোনা জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মীর ছোটন বলেন, এই সমাজে আমরা প্রত্যেকেই যেন আত্মকেন্দ্রিক, বৃদ্ধাশ্রমের চার দেয়ালের ভেতর লুকিয়ে থাকা বিষাদগ্রস্ত প্রাণগুলো আমাদের নজরে আসে না। সেখানে কেউ মুখ লুকিয়ে পরিবারের মায়ায় ঝরাচ্ছেন অশ্রু। আবার কেউ মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে বিষাদের দেয়াল আঁকড়ে ধরে করছেন জীবনপার। বৃদ্ধ বয়সে একা জীবন কেটে যাচ্ছে প্রত্যেকের। পরিবারহীন সময়ে ঈদের মতো খুশির দিনও তাদের কাছে বিষাদময়। অন্যদিকে মমতা ভালোবাসা হারানো এতিম সন্তানদেরও ঈদ কেটে যায় বছরের অন্যান্য সাধারণ দিনের মতোই। তাই ক্ষণিকের জন্য সেই বিষের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে এবার ঈদুল আজহা উপলক্ষে বৃদ্ধাশ্রমে ছুটে যাই আমরা কয়েকজন এতিম সন্তান।
মন্তব্য করুন