পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা আমরা চেষ্টা করছি সবাই মিলে একসঙ্গে থাকতে। হাওর এলাকায় প্রতি বছরই কম-বেশি বন্যা হয় এবং মানুষজন ক্ষতিগ্রস্ত হন। এখানকার বাসিন্দারা আমার থেকে ভালো জানেন এখানে কীভাবে বসবাস করতে হবে।’
তিনি বলেন, মানুষের প্রয়োজনের আগেই তিনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) মানুষকে নিরাপদে রাখার চেষ্টা করেন। এবার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হলে জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে রিপোর্ট নেওয়া হবে। এরপর অবশ্যই সকল ক্ষতিগ্রস্তদের দেখভাল করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুরে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের মঈনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।
তিনি বলেন, যতদিন অবস্থার উন্নতি না হবে ততদিন আমরা বন্যার্তদের পাশে থাকব। প্রয়োজনে আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে, ত্রাণের পরিমাণও বাড়ানো হবে। বন্যার্তদের আমরা ভালো রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থেকে জেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ সকলে কাজ করছেন। যারা কষ্টে আছেন তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে এসে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি এম এ মান্নান, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. মোহাম্মদ সাদিক, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য রনজিত সরকার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন।
মন্তব্য করুন