ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার ঐতিহাসিক বিন্নাকুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৯ জুন) বিকেলে বিন্নাকুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে সুবর্ণজয়ন্তী বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়টি ১৯৭৩ সালে জাতীয়করণ হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে একযোগে ৩৬ হাজার ১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেন। এর মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষার অগ্রযাত্রার শুভ সূচিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তাগাছার স্থানীয় সংসদ সদস্য কৃষিবিদ নজরুল ইসলাম।
সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, জাতির পিতার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ স্মার্ট বাংলাদেশ গঠিত হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। জাতির পিতা ৭২ সালে দেশে ফিরেই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গঠনে ’৭৩ সালে একযোগে সারাদেশে প্রায় ৩৭ হাজার বিদ্যালয় সরকারি করেন। এর মধ্যে এই বিন্নাকুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বঙ্গবন্ধুর হাতে জাতীয়করণ এই বিদ্যালয় অনেক কৃতি শিক্ষার্থী জন্ম দিয়েছে।
এসময় তিনি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতিমুক্ত করার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার কন্যা বাবার মতো দৃঢ়তা দেখিয়েছেন। পদ্মা সেতুর মতো প্রকল্প দেশের টাকায় বাস্তবায়ন করে সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি যা বলেন, তা করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুক্তাগাছা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই আকন্দ বলেন, আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন করেছি, এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, প্রত্যেক এলাকায় কিছু গুণীজন থাকে। দেশের কাজে, এলাকার উন্নয়নে এসব গুণী মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে এলাকার রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও বিদ্যালয়ের প্রাক্তন কৃতি শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম ও পুলিশের বিশেষ শাখার ইন্সপেক্টর আব্দুল জলিলসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে।
বিন্নাকুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি বকুল হোসেনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তাগাছা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বিটুল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুন নাহার দিলু, দুল্লা ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন আলী, মুক্তাগাছা শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ইদ্রিস আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ, শিক্ষক আব্দুল জলিল ও কামরুজ্জামান কামালসহ অন্যরা।
ধন্যবাদ বক্তব্য রাখেন দৈনিক কালবেলার অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার এবং ওই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী রেজাউল করিম। অনুষ্ঠানে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে দেশের জনপ্রিয় গণমাধ্যম দৈনিক কালবেলা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জনপ্রিয় উপস্থাপক আরিফুল হক সরকার।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করা হয়, এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
আলোচনা সভা শেষে গুণীজন সম্মাননা হিসেবে ক্রেস্ট দেওয়া হয়। তিনশর বেশি প্রাক্তন শিক্ষার্থীসহ তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের ২য় পর্বে মাগরিবের পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন জনপ্রিয় ফোক গায়িকা সুলতানা ইয়াসমিন লায়লা।
মন্তব্য করুন