কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার আদ্রা ইউনিয়নের মন্দুক গ্রাম। একই ইউনিয়নের সোনাইমুড়ী থেকে পেরপেটি ও একবাড়িয়া (কোড্ডারার) রোড পর্যন্ত এই গ্রামসহ আশপাশের প্রায় চারটি গ্রামে যাতায়াত করার একমাত্র রাস্তাটি এই গ্রামের ভেতর দিয়ে গেছে। কিন্তু ভাঙা কালভার্ট দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকাবাসী। কালভার্টটির মাঝামাঝি ভেঙে যাওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুলপড়ুয়া ছাত্রছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ চলাচল করছে। এলাকাবাসীর দাবি, এই কালভার্টটি দ্রুত পুনঃসংস্কার বা ছোট একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হলে তাদের চলাচলে আর ভোগান্তি পোহাতে হবে না। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গ্রামের মানুষের চলাচলের জন্য প্রায় ১০ বছর আগে একটি কালভার্ট তৈরি করে দেওয়া হয়। এই রাস্তাটি দিয়ে বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ চলাচল করে। কিন্তু নিম্নমানের কাজ করার কারণে প্রায় আড়াই বছর আগে কালভার্টটির মাঝামাঝি অংশে ভেঙে যায়। যার ফলে স্কুলের শিক্ষার্থীসহ ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
এলাকাবাসী ও স্থানীয়রা জানায়, একাধিকবার রাস্তা এবং কালভার্ট মেরামতের জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. রাকিবুল হাসান লিমনেকে অবহিত করলেও তিনি আবেদনের কোন গুরুত্ব দেয়নি। পরবর্তীতে এলাকাবাসীদের জোর দাবিতে ইউপি চেয়ারম্যান রাকিবুল হাসান লিমন নিজে এসে পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয়দের আশ্বস্ত করেন যে, কালভার্টের সঙ্গে রাস্তা পাকা করার ব্যবস্থা করবেন। পরিদর্শনের পর প্রায় দুই বছর পার হয়ে গেলেও এই রাস্তা ও কালভার্ট কোনটাই মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি ওই ইউপি চেয়ারম্যান।
রাস্তাটি চলাচল করেন মনির হোসেন নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, এই কালভার্টটি প্রায় ৩ বছর আগে ভেঙেছে। অল্প একটু ভাঙা থেকে আজ এর করুণ অবস্থা। শুরুতেই যদি ইউপি চেয়ারম্যান বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোন পর্যায় থেকে কালভার্টের সামান্য ভাঙা অংশ মেরামত করে দিত তাহলে আজ এই অবস্থা হতো না। এখন একটু বৃষ্টি হলেই আমাদের ছেলেমেয়েরা কীভাবে স্কুলে যাবে সে চিন্তায় থাকে সকল অভিভাবক। তাছাড়া রাতের অন্ধকারে তো খুবই ঝুঁকি নিয়ে আমাদের চলাচল করতে হয়। তাই আমাদের এই কালভার্টটি মেরামত করে দেওয়ার বা ছোট একটি ব্রিজ নির্মাণ করে দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয় গ্রামবাসী মাহবুব আলম মিলন বলেন, এখানে কালভার্টটি ভেঙে যাওয়ার কারণে আমাদের ছোট বড় সকলের সমস্যায় পড়তে হয়। দীর্ঘদিন থেকে ভাঙা রয়েছে। কেউ এটা নিয়ে ভাবেন না।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে আদ্রা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রাকিবুল হাসান লিমন বরাবরের মতো আশ্বাস দিয়ে বলেন, আমি এই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে জানিয়েছি। খুব দ্রুত এই কালভার্টটির সংস্কারের কাজ শুরু করব।
মন্তব্য করুন