গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে নদীর পানি ১৪ সেমি কমেছে। বর্তমানে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৬ সেমি ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার (১৯ জুন) রাতে বৃষ্টিপাত কম হওয়ার হাওরাঞ্চল ও পৌর শহরের পাড়া-মহল্লায় পানি কিছুটা কমলেও বন্যা পরিস্থিত অপরিবর্তিত রয়েছে। বেসরকারি হিসেবে সুনামগঞ্জ জেলার ৮৮ ইউনিয়নের কমপক্ষে আট লাখ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন।
সুরমা নদীর পাড়ের পৌর কিচেন মার্কেট থেকে পানি নেমেছে তবে সবজি বাজারে কিছুটা পানি রয়েছে। এদিকে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নতুন পাড়া, শান্তিব্গা, ধোপাখালী, বাঁধনপাড়া, বলাকা, মোহাম্মদপুর, ষোলঘর, পশ্চিম হাজীপাড়া, তেঘরিয়া, নবীনগর, কাজীর পয়েন্ট, মল্লিকপুরসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা এখনো পানিবন্দি রয়েছেন। শহরের সবকয়টি হোটেলের কক্ষ বুকিং দিয়ে একতলার বাসিন্দা সামর্থ্যবানরা ওঠেছেন। কেউ কেউ ক্লিনিকের কক্ষেও পরিবার পরিজন নিয়ে ওঠেছেন। বিপাকে পড়েছেন, নিম্ন আয়ের মানুষজন। বাজারেও দুয়েকটা দোকান খোলা পাওয়া গেলেও নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন দোকানিরা।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদ, ভূমি অফিসসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাটবাজার, গ্রামীণ রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন জায়গায় বন্যার পানি উঠেছে। শান্তিগঞ্জ উপজেলার বেশিরভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তাহিরপুরে ১০-১৫টি গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানান, সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৬ সেমি বা ১০ দশমিক ২৪ ইঞ্চি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ছাতক উপজেলায় বিপৎসীমার ১২৯ সেমি বা ৪ দশমিক ২৩ ফুট ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। দিরাই উপজেলায় বিপৎসীমার ৩২ সেমি বা ১ দশমিক ০৫ ফুট ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ৫৫ মিমি, লাউড়ের গড়ে ৬২ মিমি, ছাতকে ৬৫ মিমি এবং দিরাইয়ে ৫৫ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। তবে সুনামগঞ্জে ও চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত গত ২৪ ঘণ্টায় কিছুটা কম হওয়ায় রক্ষা পাওয়া গেছে বলে জানান এই প্রকৌশলী।
মন্তব্য করুন