নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের চরাঞ্চল নুনেরটেক এলাকায় আছিয়া (২৭) নামের এক প্রতিবন্ধী যুবতীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ধর্ষক একই এলাকার মৃত কাবিল হোসেনের ছেলে কামাল (৪০) বলে জানা যায়।
ধর্ষিতার বাবা অসহায় দিনমজুর হওয়ায় এবং স্থানীয় প্রভাশালীদের ভয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ না দেওয়ায় কোনো আইনিব্যবস্থাও নেয়নি পুলিশ।
স্থানীয় ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী আছিয়া (২৭) অসহায় দিনমজুর পরিবারের সন্তান। ছোটবেলায় তার মা মারা যায়। বাবা পেশায় একজন জেলে। নানির বাড়িতেই সে বড় হয়। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হওয়ায় পাশের বাড়ির মৃত কাবিল মিয়ার ছেলে কামাল (৪০) গত ৩ বছর পূর্বে একাধিকবার ধর্ষণ করে অন্তঃসত্ত্বা করলে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে উপজেলার স্থানীয় একটি হাসপাতালে গর্ভপাত করায়। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়ায় আবার এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। যার ফল স্বরূপ এবার ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে ভুক্তভোগী আছিয়া ও তার পরিবার।
ভুক্তভোগী বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী আছিয়া(২৭) জানান, তার বাবা ও ভাই রাতে বাসায় না থাকার সুযোগে বাসায় ঢুকে তাকে মুখ চেপে ধরে একাধিকবার ধর্ষণ করে এর আগে দুবার অন্তঃসত্ত্বা করেন। দুবারই স্থানীয়দের প্রভাবের কারণে অভিযুক্ত কামাল ও তার বউ উপজেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে গর্ভপাত করায়। এবার একইভাবে তাকে ঘরে একা পেয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন কামাল। যার ফলে সে এখন ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
ভুক্তভোগীর ছোট ভাই ওয়াসীম জানান, পরিবারের সচ্ছলতার জন্য সে এবং তার বাবা রাতে নদীতে মাছ ধরতে যায়। এ সুযোগে পাশের বাড়ির মৃত কাবিল মিয়ার ছেলে কামাল তার বোনকে এর আগেও একাধিকবার ধর্ষণ করে অন্তঃসত্ত্বা করে। কিন্তু স্থানীয়দের প্রভাবের কারণে তাদের হুমকি প্রদান করে গোপনে গর্ভপাত করায়। পরে আবার এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে তার বোনকে এবার ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা করে সেই ধর্ষণকারী কামাল (৪০)।
ভুক্তভোগীর ভাবী জানান, মেয়েটি বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অসহায় পরিবারের হওয়ায় এলাকার স্থানীয় ব্যক্তিরা তাদের কোনো সহযোগিতা করছে না। তারা ধর্ষণকারী কামালের পক্ষ নিয়ে বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। তারা এখন অসহায় মেয়েটিকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এব্যাপারে অভিযুক্ত ধর্ষক কামাল বলেন, আমি একজন জেলে। আমার ওপর ধর্ষণের বিষয়টি মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি এই অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নই।
সোনারগাঁ থানার তদন্ত (ওসি) মহসিন মিয়া জানান, এ বিষয়ে থানায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন