বন্যা মোকাবেলায় এক মিনিটের জন্যও বন্ধ হবে না সিসিকের কার্যক্রম বলে মন্তব্য করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাত ৯টায় নগরভবনের সম্মেলন কক্ষে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বন্যায় সিলেটের মানুষ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সিসিকের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করে সন্ধ্যায় জরুরি বৈঠক করেছি। সারা দিন আমি ও আমার পরিষদের সকল কাউন্সিলর বন্যাকবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন। সিসিকের তদারকি টিম গঠন করা হয়েছে। আমরা সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করবো।
আনোয়ারুজ্জামান বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মানুষ যেন ভোগান্তি না পোহান সেদিকে নজর রাখা হয়েছে। শুকনো ও রান্না করা খাবার তাদের দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনীয় মেডিসিনও দেওয়া হচ্ছে। বন্যার্তদের দুর্ভোগ কমাতে যথাযথ সব করা হবে। দুর্গত এলাকাগুলোতে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে নগর ভবন। বিদ্যুৎ কেন্দ্র রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে।
মেয়র বলেন, যতদিন বন্যার পানি না কমছে ততদিন আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। নগরভবনে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। এখান থেকে সব কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এসব কার্যক্রম আমি নিজে তদারিক করবো। এক মিনিটের জন্যও আমাদের কার্যক্রম বন্ধ হবে না। সরকারের উচ্চ মহল ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে আজ দফায় দফায় যোগাযোগ হয়েছে। তারা সিলেটের প্রতি অতি আন্তরিক। সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় যত ধরনের সহযোগিতা দরকার তা করবেন।
তিনি বলেন, দল-মত নির্বিশেষ সবাইকে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে হবে। পাশাপাশি প্রবাসীরাও আশা করি এ দুর্যোগ সময়ে সিলেটবাসীর পাশে দাঁড়াবেন।
এর আগে সন্ধ্যা ৭টায় বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বিশেষ সভা করে সিটি কর্পোরেশন পরিষদ। সভায় বন্যা পরিস্থিতিতে করণীয়, পানিবন্দিদের দ্রুত আশ্রয় কেন্দ্রে আনার ব্যবস্থা এবং ত্রাণ সহায়তা প্রসঙ্গে সভা করা হয়।
মঙ্গলবার বিকেলে বরইকান্দি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র রক্ষায় সেনাবাহিনীর একটি টিম নিয়ে পরিদর্শন এবং বন্যা কবলিত কয়েকটি ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার পর্যন্ত সিলেটজুড়ে ৮৬৪টি গ্রাম ও এলাকা প্লাবিত। এসব গ্রাম ও এলাকার ৩ লাখ ৭১ হাজার ৫০৭ জন মানুষ বন্যা আক্রান্ত। এর মধ্যে সিলেট মহানগরের ৪টি ওয়ার্ডের ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি।
মন্তব্য করুন