ঢাকার নবাবগঞ্জে পারিবারিক বিরোধের জেরে চাচাতো ভাই মনোরঞ্জন রায়ের (মনু) লাঠির আঘাতে বড় ভাই ভজন রায়ের (৫০) মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৭ জুন) রাত ১১টার দিকে উপজেলার যন্ত্রইল ইউনিয়নের চন্দ্রখোলা নয়াহাটি ব্রিজে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ভজন রায় ওই গ্রামের মৃত কৃষ্ণ রায়ের ছেলে। তিনি স্থানীয় চন্দ্রখোলা কালীখোলা বাজারে খুচরা পান বিক্রেতা ছিলেন। হত্যাকারী মনোরঞ্জন রায় (মনু) তার চাচা দুর্লভ রায়ের ছেলে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চাচাতো ভাই মনোরঞ্জন রায় প্রবাসে থাকাকালীন স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। তা নিয়ে সামাজিক ও পারিবারিকভাবে সমস্যা দেখা দেয়। সেসময়ে মনোরঞ্জনের স্ত্রী বাবা-মায়ের সঙ্গে চলে যান। মনোরঞ্জন ৬ মাস আগে প্রবাস থেকে ফিরলে তাকে স্ত্রী নিয়ে বাড়িতে থাকতে নিষেধ করেন বড় ভাই ভজন রায়। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মনোরঞ্জন। দুইদিন আগেও লাঠি নিয়ে আক্রমণের চেষ্টা করেন মনোরঞ্জন।
সোমবার রাত ১১টার দিকে পানের দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে চন্দ্রখোলা নয়াহাটি ব্রিজের উপর আগে থেকে অবস্থান নেয় মনোরঞ্জন। পূর্বপরিকল্পিতভাবে মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করতে থাকলে সে ব্রিজের ওপর পড়ে যায়। এ সময় পার্শ্ববর্তী আবদানী গ্রামের এক পথচারী দেখে চিৎকার দিলে মনোরঞ্জন পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা আহতাবস্থায় ভজন রায়কে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্ত্রী সবিতা রায় জানান, পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে হত্যা করেছে মনোরঞ্জন। আমি এর বিচার চাই। স্বামীর স্বল্প আয়ে কোনো রকমে সংসার চলতো। স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া দুই ছেলে-মেয়ে নিয়ে আমি কীভাবে চলবো। আমার সব শেষ করে দিলো।
নবাবগঞ্জ থানার ওসি মো. শাহজালাল হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবার লিখিত অভিযোগ দিলে মামলা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন