রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বাঘাইহাটে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সঙ্গে গ্রামবাসীর গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন নিহত ছাড়াও আরও দুই ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) বেলা ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় নিহত নাঈম (৩৪) যাত্রীবাহী বাস শান্তি পরিবহনের চালক সহকারী ছিলেন বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ৯ জুন বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেএসএস (এমএন লারমা) ও ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক দলের প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী বাঘাইহাট বাজারে অবস্থান নেয়। এ দুটি দলের লোকজন বাঘাইহাট বাজারে অবস্থানকালে গ্রামবাসীদের ক্রয় করা বাজার নিতে বাধা প্রদানসহ নানা হয়রানি করত। এতে এলাকায় অসন্তোষ দেখা দেয়। মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুরে বিক্ষুব্ধ প্রায় ৭ শতাধিক গ্রামবাসী লাঠিসোঁটা নিয়ে প্রথমে বাঘাইহাট বাজারে অবস্থিত রাঙ্গুনিয়া হোটেল ঘেরাও করে। সেখানে কাউকে না পেয়ে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী বাঘাইহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘেরাও করে। তখন বিদ্যালয়ের ভেতর থেকে গুলি ছোড়া হলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শান্তি পরিবহনের লাইনম্যান নাঈমকে দিঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অন্য দুজন হলেন- চিক্কোমনি চাকমা (৩০) ও সোনামণি চাকমা (২৮)। তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
দিঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত কর্মকর্তা ডা. জয় চৌধুরী বলেন, নাঈম নামে এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পর যথাসাধ্য চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার অবস্থা খুব খারাপ হওয়ায় তিনি মারা গেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ জানিয়েছেন, বাঘাইহাটে আঞ্চলিক দুই সংগঠনের মধ্যে গোলাগুলিতে একজন গুলিবৃদ্ধ হলে তাকে দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
উল্লেখ্য, বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আঞ্চলিক দুই সংগঠন ইউপিডিএফ ও জেএসএস সংস্কার এই দুই দলের মধ্যে বেশ কিছু দিন ধরে উত্তেজনা চলে আসছে। যার ফলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে অনেকে মনে করেন।
মন্তব্য করুন