ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর পাইলট সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নবীনগর পৌরসভা কর্তৃক আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে জমে উঠেছে পশুর হাট। হাটে পুরোদমে চলছে গরু, ছাগল ও মহিষ বেচা-কেনা। কেউ বাজারে এসেছেন কোরবানির পশু কিনতে আবার কেউ এসেছেন পশু বিক্রির উদ্দেশ্যে। এতে কোরবানির পশুর হাটটি ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় জমে উঠেছে।
অন্যদিকে এ হাটে খামারের গরু বিক্রি করতে নিয়ে এসেছেন পাইকার রাশেদ মিয়া ও মনোয়ার হোসেন। তাদের প্রত্যেকের প্রায় ৫টি থেকে ৭টি করে গরু। তারা বলেন, ক্রেতারা দাম কম বলছেন। এদিকে এ বছর খাদ্যের দাম একটু বেশি হওয়ায় গরুর পেছনে আমাদের খরচও বেশি হয়েছে। তবুও ক্রেতাদের সঙ্গে দামে ধরে মিলে গেলে গরুগুলো বিক্রি করে দেব।
রায়পুর থেকে আসা শামসু মিয়া এবারের এ হাটে সবচেয়ে বড় গরুটি তুলেছেন। যার ওজন প্রায় ১২শ কেজি। সঙ্গে কালো মানিক নামে আরেকটি ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের গরু ফ্রি। তার বিশাল দেহের গরুটির নাম রেখেছেন শান্ত রাজ। তিনি শান্ত রাজের দাম হাঁকাচ্ছেন ২৫ লাখ টাকা।
ওনার টার্গেট ১৮ লাখ হলে শান্ত রাজকে ছেড়ে দেবেন। আজকে পর্যন্ত দাম উঠেছে ১৪ লাখ টাকা। প্রস্থে ৮ ফুট উচ্চতায় প্রায় ৬ ফুটের শান্ত রাজ বাজারকে মাতিয়ে রেখেছে। ক্রেতা ও উৎসুক জনতা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে শান্ত রাজকে একনজর দেখার জন্য।
পাশেই রয়েছে হিরো আলম, জায়েদ খান ও লায়লা নামের আরও বিশাল আকৃতির ৩টি গরু। প্রত্যেকটি গরুর ওজন প্রায় ৪-৫শ কেজি। পর্যায়ক্রমে দাম হাঁকাচ্ছেন ৮, ৭ ও ৭ লাখ টাকা। এ সময় দেখা যায়, দু’একজন ক্রেতা ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা বলে দামাদামি করছিলেন। বিক্রেতা ওই দামে হিরো আলম, জায়েদ খান ও লায়লা, কাউকেই ছাড়তে রাজি হচ্ছিলেন না।
পশুর হাট কর্তৃপক্ষ জানায়, আমরা এবার ঈদকে সামনে রেখে একদম সীমিত আকারে হাসিল খরচ নিচ্ছি। ছোট গরু এক হাজার, বড় গরু দুই হাজার আর ছাগল পাঁচশ টাকা করে হাসিল খরচ নিচ্ছি।হাটে গরু-ছাগল অসুস্থ হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে। প্রশাসনের নজরদারিতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে হাটে বেচাকেনা হচ্ছে। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতারা কোরবানির পশু কিনতে ও বিক্রি করতে পারবেন আমাদের পশুর হাটে।
মন্তব্য করুন