আড়াই বছর আগে শখ করে দুটি বাছুর লালনপালন শুরু করেন নিপা আক্তার (২৫)। আদর করে একটি গরুর নাম দেন স্বপ্ন, আরেকটির নাম নবাব। মূলত নিপার স্বপ্ন ছিল গরু পালন করেই তিনি স্বাবলম্বী হবেন। সেই থেকেই গরুটির নাম দেন স্বপ্ন।
ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে গরুগুলো। বাড়িতে কোনো পুরুষ না থাকায় এগুলো রাখতে বেশ কষ্ট করতে হয় তাকে। তার মধ্যে প্রতিদিন একেকটি গরুকে প্রায় এক হাজার টাকার খাবার খাওয়াতে হয়।
এরমধ্যে সিদ্ধান্ত নেন কোরবানিতে স্বপ্নকে বিক্রি করে দেবেন। পরম আদরে বড় করা গরুগুলো বিক্রির কথা ভাবতেই কান্নায় চোখ ভাসান তিনি।
টাঙ্গাইলের গোপালপুরের পৌর শহরের চন্দ্রবাড়ী মহল্লার বাসিন্দা নিপা আকতার। শাহিওয়াল জাতের ছোট ‘নবাব’ এবং ফ্রিজিয়ান জাতের ‘স্বপ্ন’। কুরবানী ঈদে ১৭ মণ ওজনের গরু স্বপ্নকে বিক্রি করবেন ৬ লাখ টাকায়।
কাঁচা ঘাস, খড়, ভুষি, খুদের ভাত এবং ফলমূল খাইয়ে বড় করেছেন গরুটিকে। প্রতিদিন ২-৩ বার গোসল করানো হয় তাকে। এ কাজে সাহায্য করেন তার মা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শরিফ আব্দুল বাসেত বলেন, কুরবানী উপলক্ষে গোপালপুরে সাড়ে ৬ হাজার গরু এবং ৮ হাজার ছাগল, ভেড়া প্রস্তুত রয়েছে। যা স্থানীয় চাহিদার তুলনায় ৪ শতাংশ বেশি। প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে নিয়মিত খামারিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
কোরবানিতে বড় আকারের গরু নজর কাড়ে সবারই। দামও পাওয়া যায় ভালো। তাই দেশীয় পদ্বতিতে গরু মোটাতাজা করে সফলতার মুখ দেখছেন খামারিরা।
মন্তব্য করুন